সর্বশেষ

আইন-আদালত

মানবতাবিরোধী মামলা: দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিচ্ছেন নাহিদ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বৃহস্পতিবার , ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৬:০০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুনের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো সাক্ষ্য দিচ্ছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করছেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এমএইচ তামিম।

এর আগে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত প্রথম দিন সাক্ষ্য দেন নাহিদ ইসলাম। সাক্ষ্য সম্পূর্ণ না হওয়ায় ট্রাইব্যুনাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মুলতবি ঘোষণা করেছিল। আজ তিনি অবশিষ্ট অংশের সাক্ষ্য দিচ্ছেন। এরপর তাকে জেরা করবেন রাষ্ট্রনিযুক্ত স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী মো. আমির হোসেন।

এদিকে, একই দিনে দ্বিতীয় দফায় দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেন স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী। মামলাটির ১৮তম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণে এখন পর্যন্ত ৪৭ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়েই এ মামলার সাক্ষ্য পর্বের সমাপ্তি টানা হবে।

এর আগে ২ সেপ্টেম্বর, মামলার ৩৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দেন আসামি থেকে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। তিনি স্বীকার করেন যে, ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশেই দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়। নিজের ভূমিকায় অনুশোচনা প্রকাশ করে তিনি ক্ষমাও চান।

জবানবন্দিতে উঠে এসেছে, গত বছরের জুলাই-আগস্ট মাসে সরকারবিরোধী আন্দোলন দমন করতে দেশের বিভিন্ন স্থানে গণহত্যা, নির্যাতন ও নিপীড়নের বীভৎস বিবরণ। প্রত্যক্ষদর্শী, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ অনেকেই এসব ঘটনার পক্ষে সাক্ষ্য দিয়েছেন এবং অভিযুক্তদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন শহীদ পরিবারগুলো।

গত ১০ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযোগ গঠন করে এই মামলার বিচার শুরু হয়। মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছে শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে।

প্রসিকিউশনের দাখিলকৃত অভিযোগপত্রে রয়েছে মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার নথিপত্র, যার মধ্যে তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও অন্যান্য দালিলিক প্রমাণ ৪ হাজার ৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকা ও বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার। মামলার সাক্ষী রয়েছেন মোট ৮১ জন।

গত ১২ মে তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের কাছে হস্তান্তর করে তদন্ত সংস্থা।

১০৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন