অস্ট্রেলীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ ট্রাম্প, আলবানিজকে জানানোর হুমকি

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৮:২১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
হোয়াইট হাউসের লনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসির এক সাংবাদিকের প্রশ্নে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
ওই সাংবাদিকের প্রশ্নে ‘অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি’ হতে পারে বলেও সতর্ক করেন তিনি এবং আসন্ন বৈঠকে বিষয়টি অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজকে জানাবেন বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
এবিসির জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জন লায়ন্স ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সম্পদ ও ব্যবসায়িক কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন করলে প্রেসিডেন্ট স্পষ্ট অস্বস্তি প্রকাশ করেন। বিশেষ করে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় তাঁর ব্যবসায়িক সম্পৃক্ততা নিয়ে প্রশ্ন করলে ট্রাম্প বলেন, “আসলে আমি নই, আমার সন্তানেরা ব্যবসা চালাচ্ছে।”
লায়ন্সের প্রশ্ন ছিল, প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি আর্থিকভাবে কতটা সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং এটি কতটা নৈতিক। প্রশ্নটি ট্রাম্পের কাছে অস্বস্তিকর ঠেকায় তিনি পাল্টা জিজ্ঞাসা করেন, সাংবাদিকটি কোথা থেকে এসেছেন। লায়ন্সের অস্ট্রেলীয় পরিচয় জানতে পেরে ট্রাম্প বলেন, “আপনি এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার অনেক ক্ষতি করছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আপনার নেতা (প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ) আমার সঙ্গে দেখা করতে আসছেন। আমি তাঁকে আপনার ব্যাপারে জানাবো। আপনি খুব বাজেভাবে কথা বলছেন, আপনাকে আরও ভালোভাবে কথা বলতে হবে।”
ট্রাম্প পরে সাংবাদিককে 'চুপ করতে' বলেন এবং আর কোনো প্রশ্ন নিতে অস্বীকৃতি জানান।
ট্রাম্প ও অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজের মধ্যে আগামী সপ্তাহে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে প্রথম সরাসরি বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর আগে, চলতি বছরের জুনে কানাডায় জি-২০ সম্মেলনের সময় দুই নেতার মধ্যে বৈঠকের কথা থাকলেও তা শেষ মুহূর্তে বাতিল হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী আলবানিজ সম্প্রতি বলেন, “নিউইয়র্কে আমাদের একে অপরের সঙ্গে দেখা হবে। তিনি (ট্রাম্প) একটি অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করছেন। এছাড়াও বছরের শেষ দিকে আমাদের একাধিক আন্তর্জাতিক ফোরামে দেখা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।”
আসন্ন বৈঠকে পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও আলোচনায় থাকবে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ইস্যু। এর মধ্যে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অকাস (AUKUS) নিরাপত্তা চুক্তির আওতায় পারমাণবিক সাবমেরিন প্রকল্প এবং প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধির বিষয়ে মার্কিন চাপ। ট্রাম্প প্রশাসন চায়, অস্ট্রেলিয়া এ খাতে আরও জোরালো ভূমিকা নিক।
ট্রাম্পের এ ধরনের প্রতিক্রিয়া গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের প্রশ্ন করার অধিকার নিয়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, রাষ্ট্রনেতার প্রশ্নবিদ্ধ আচরণ দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কেও প্রভাব ফেলতে পারে।
১২২ বার পড়া হয়েছে