সর্বশেষ

শিক্ষা

আসামের এনআইটিতে সংঘর্ষ, ৫ বাংলাদেশি ছাত্র বহিষ্কার

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ভারতের আসাম রাজ্যের শিলচরে অবস্থিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে (এনআইটি) সহপাঠীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৫ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে কর্তৃপক্ষ।

পাশাপাশি তাদের হোস্টেল থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দ্রুত তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

ঘটনাটি ঘটেছে গত ৯ সেপ্টেম্বর রাতে। অভিযোগ অনুযায়ী, এনআইটিতে অধ্যয়নরত তৃতীয় বর্ষের পাঁচজন বাংলাদেশি ছাত্র নিজেদের দেশের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা লোহার রড, স্ক্রু ড্রাইভার ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে প্রায় ৩০ মিনিট ধরে সহপাঠীদের মারধর করে।

আহতদের হাসপাতালে ভর্তি
এই ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হন। তাদের শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দুজন শিক্ষার্থীর মাথায় গুরুতর আঘাত লাগে এবং সেলাই করতে হয় বলে সহপাঠীরা জানিয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী জানান, প্রথমে তৃতীয় বর্ষের ছাত্ররা নিজেদের ব্যাচের মধ্যে ঝামেলায় জড়ায়। সিনিয়ররা বিষয়টি মেটাতে গেলে তাদের একটি ক্লাসরুমে ডেকে নিয়ে আলো নিভিয়ে হামলা চালানো হয়।

তদন্তে উঠে আসে মাদকদ্রব্য ও অস্ত্রের তথ্য
হামলার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ তদন্ত শুরু করে। অভিযুক্তদের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে একজনের রুম থেকে মাদকদ্রব্য এবং অন্য একজনের রুম থেকে ছুরি ও লোহার রড উদ্ধার করা হয়।

বহিষ্কার ও ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া
এনআইটির পরিচালক অধ্যাপক দিলীপ কুমার বৈদ্য বলেন,

“আমাদের তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাদের দুই সেমিস্টারের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। যেহেতু তারা ক্লাসে অংশ নিতে পারবে না, তাই দ্রুত তাদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে।”
এই শিক্ষার্থীরা ভারত সরকারের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস (ICCR) স্কলারশিপে পড়াশোনা করছিলেন।

পুলিশি পদক্ষেপ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত
যদিও ঘটনাটি গুরুতর, এনআইটি কর্তৃপক্ষ এখন পর্যন্ত পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ (FIR) দায়ের করেনি। স্টুডেন্ট ওয়েলফেয়ার বিভাগের ডিন এসএস ধর জানান,

“আমরা নিজেরাই তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছি এবং এতে আমরা সন্তুষ্ট। গুয়াহাটির ICCR কর্মকর্তাও আমাদের পদক্ষেপে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।”
তিনি আরও বলেন,

“সহিংসতা ও মাদকদ্রব্যের বিষয়টি তদন্তাধীন। প্রয়োজনে পরবর্তীতে আরও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

১০৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন