রাসুলের আদর্শ বিশ্বে শান্তি ও কল্যাণ আনতে সক্ষম: ড. ইউনূস

শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৩:৩৭ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহ অনুসরণ করলেই বিশ্বে শান্তি, ন্যায় এবং কল্যাণ প্রতিষ্ঠা সম্ভব— এমন মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে শুক্রবার এক শুভেচ্ছা বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, “মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা ও সুন্নাহ মানব জীবনের সর্বক্ষেত্রে এক উৎকৃষ্ট পথনির্দেশনা। তাঁর আদর্শ অনুসরণেই মুসলমানদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত কল্যাণ, সফলতা ও শান্তি।”
তিনি আরও বলেন, ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতিবিজড়িত একটি মহিমান্বিত দিন। এ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীসহ সারা বিশ্বের মুসলিম উম্মাহকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ জানান।
ড. ইউনূস বলেন, হজরত মুহাম্মদ (সা.) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’— সমগ্র সৃষ্টি জগতের প্রতি যাঁর ছিল অশেষ দয়া ও অনুকম্পা। মহান আল্লাহ তাঁকে মানবজাতির হেদায়েত ও মুক্তির পথ দেখাতে প্রেরণ করেছেন। পবিত্র কোরআনের বরাতে তিনি বলেন, “হে নবী, আমি আপনাকে সমগ্র বিশ্বজগতের জন্য কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি” (সূরা আল-আম্বিয়া, আয়াত ১০৭)।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, মহানবী (সা.) দুনিয়ায় এসেছিলেন আলোর প্রদীপ হয়ে— যিনি মানুষকে অজ্ঞতার অন্ধকার থেকে মুক্ত করে দিয়েছিলেন শান্তি, ন্যায্যতা ও মানবিকতার পথ।
ড. ইউনূস বলেন, “মহানবী (সা.)-এর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য, দয়া, মহানুভবতা এবং আল্লাহর প্রতি নিবেদিত ভালোবাসা আমাদের জন্য এক অনন্য আদর্শ। কোরআনে তাঁকে ‘উসওয়াতুন হাসানাহ’ বলা হয়েছে— অর্থাৎ সুন্দরতম আদর্শ। এই আদর্শ যুগে যুগে মানবতার জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করবে।”
তিনি আরও বলেন, পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে সমগ্র মুসলিম উম্মাহর ঐক্য আরও সুদৃঢ় হোক এবং মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে ইহকাল ও পরকালের কল্যাণ লাভ সম্ভব হোক— এ কামনাই করি। আমিন।
১১৯ বার পড়া হয়েছে