সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

মার্কিন যুদ্ধজাহাজের জবাবে ভেনেজুয়েলার নৌ ও ড্রোন মোতায়েন

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ ৮:৫৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ভেনেজুয়েলার উপকূলের কাছাকাছি মার্কিন যুদ্ধজাহাজ মোতায়েনের ঘটনায় দুই দেশের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটি মাদক পাচার মোকাবিলার অংশ। তবে এই পদক্ষেপকে স্পষ্ট হুমকি হিসেবে দেখছে কারাকাস, এবং এর পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে উপকূলে সামরিক নৌযান ও ড্রোন মোতায়েন করেছে ভেনেজুয়েলা।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) এক ভিডিও বার্তায় ভেনেজুয়েলার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ভ্লাদিমির পাডরিনো জানান, ক্যারিবিয়ান উপকূলে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ড্রোন এবং নৌ টহল মোতায়েন করা হয়েছে। একইসঙ্গে তিনি জানান, আঞ্চলিক জলসীমার উত্তরের দিকে আরও বৃহৎ নৌযান পাঠানো হবে।

মার্কিন পদক্ষেপ ও সামরিক জড়ো হওয়া
এর আগে গত সপ্তাহে, যুক্তরাষ্ট্র মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভেনেজুয়েলার উপকূলে তিনটি যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে। পরে আরও দুটি জাহাজ— একটি গাইডেড মিসাইল ক্রুজার ও একটি পারমাণবিক সাবমেরিন — যুক্ত হয় এই বহরে। পুরো অভিযানে অংশ নিচ্ছে প্রায় ৪,৫০০ মার্কিন সেনা, যার মধ্যে ২,২০০ জন মেরিন সেনা।

এই মোতায়েনের প্রেক্ষাপটে উঠে আসে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত, যেখানে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোকে আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে কোকেন পাচারের অভিযোগ আনে এবং মাথার দাম বাড়িয়ে করে ৫০ মিলিয়ন ডলার। একইভাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিওসদাদো কাবেলোর জন্য ২৫ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করে।

ভেনেজুয়েলার প্রতিক্রিয়া
মাদুরো এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র তার সরকারের পতন ঘটাতে চায়। নিজের সাপ্তাহিক টেলিভিশন ভাষণে তিনি বলেন, ভেনেজুয়েলা কোকেন উৎপাদন বা কোকা পাতা চাষে যুক্ত নয়; বরং যুক্তরাষ্ট্রেই মাদকের ব্যবহার ব্যাপক, কিন্তু তারা নিজেদের সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ।

জাতীয় নিরাপত্তা জোরদারের অংশ হিসেবে মাদুরো ইতোমধ্যে লক্ষাধিক স্থানীয় মিলিশিয়াকে সংগঠিত করেছেন এবং প্রায় ১৫ হাজার সেনা মোতায়েন করেছেন কলম্বিয়া সীমান্তে, মাদক চক্র ও অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে।

প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাডরিনো জানিয়েছেন, ভেনেজুয়েলার উত্তর-পূর্ব উপকূলে একটি সামরিক অভিযানে কয়েকটি গোপন জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্র ধ্বংস করা হয়েছে, যেখানে আধা-ডুবোজাহাজ ও দ্রুতগামী নৌযান তৈরির চেষ্টা চলছিল মাদক পরিবহনের জন্য।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও বিশ্লেষণ
জাতিসংঘে ভেনেজুয়েলার স্থায়ী মিশন যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে এক চিঠিতে জানিয়েছে, মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ও পারমাণবিক সাবমেরিন মোতায়েন আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।

তবে বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আপাতত সরাসরি সামরিক সংঘর্ষের সম্ভাবনা নেই। ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের বিশ্লেষক ফিল গানসনের মতে, যুক্তরাষ্ট্র মূলত চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে মাদুরোকে আলোচনায় বসতে বাধ্য করতে চায়।

১৩৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন