সর্বশেষ

আইন-আদালত

তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল রায় পুনর্বিবেচনার শুনানি আজ

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৫ ৩:১৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি আজ (বুধবার) অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চ এ শুনানি গ্রহণ করবেন।

গতকাল (মঙ্গলবার) রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে উপস্থিত ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। শুনানি শেষে আদালত আজকের দিন ধার্য করেন।

এর আগে ২০১১ সালের ১০ মে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে করা সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে বাতিল করেন আপিল বিভাগ। তৎকালীন প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই রায় প্রদান করেন। যদিও আদালত তখন দশম ও একাদশ সংসদ নির্বাচন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনেই সম্পন্ন করার মত দিয়েছিলেন।

রিভিউ আবেদনকারীদের তালিকা

চলতি বছরের ২৫ আগস্ট প্রথম দফায় পাঁচ বিশিষ্ট নাগরিক রিভিউ আবেদন করেন। তারা হলেন—সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজ উদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। তাদের পক্ষে আদালতে দাঁড়ান অ্যাডভোকেট শরীফ ভূঁইয়া এবং ব্যারিস্টার তানিম হোসেন শাওন।

পরবর্তীতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের পক্ষে আইনজীবী জয়নুল আবেদীন গত ১৬ অক্টোবর আরেকটি রিভিউ আবেদন দাখিল করেন। এরপর ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী রিভিউ আবেদন করে, যা দাখিল করেন দলটির সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।

পেছনের প্রেক্ষাপট

১৯৯৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয় ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম. সলিম উল্লাহসহ তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। হাইকোর্ট ১৯৯৬ সালের ৪ আগস্ট সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে রিট খারিজ করেন। ২০০৫ সালে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয়।

মামলার শুনানির সময় আটজন অ্যামিকাস কিউরি (আদালতের বন্ধু) নিযুক্ত হন। তাদের মধ্যে ড. কামাল হোসেন, টিএইচ খান, মাহমুদুল ইসলাম, ব্যারিস্টার এম. আমীর-উল ইসলাম ও ব্যারিস্টার রোকনউদ্দিন মাহমুদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে মত দেন। অন্যদিকে ব্যারিস্টার আজমালুল হোসেন কিউসি এর বিরোধিতা করেন। ব্যারিস্টার রফিক-উল-হক এবং ড. এম. জহির এই ব্যবস্থার সংস্কারের পক্ষে মত দেন।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে বিতর্ক চলমান থাকলেও, এখন সুপ্রিম কোর্টে রায়ের পুনর্বিবেচনার প্রক্রিয়া নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে।

১০৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আইন-আদালত নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন