হিজাব পরা নিয়ে বিতর্ক: ভিকারুননিসার শিক্ষিকা বরখাস্ত

মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫ ১১:৫৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের বসুন্ধরা শাখার এক শিক্ষিকার বিরুদ্ধে হিজাব পরা শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটির প্রাথমিক তদন্ত শেষে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষিকা ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাজেদা বেগম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফজিলাতুন নাহারকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে, কেন তাকে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করা হবে না, সে বিষয়ে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
ঘটনার পটভূমি
গত ২৪ আগস্ট, স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির একটি ক্লাসে ২০-২২ জন ছাত্রী হিজাব পরে অংশ নেয়। দিনভর অন্য কোনো শিক্ষক আপত্তি না করলেও শেষ পিরিয়ডের ইংরেজি ক্লাসে শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার শিক্ষার্থীদের ক্লাস থেকে বের করে দেন। শিক্ষার্থীরা বাসায় ফিরে জানায়, শুধু হিজাব পরার কারণেই তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে এবং সে সময় তাদের সঙ্গে অবমাননাকর ভাষায় কথা বলা হয়।
অভিভাবকদের অভিযোগ
শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, শিক্ষক হিজাব পরিহিত ছাত্রদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন—‘তোমরা মাদরাসার শিক্ষার্থী নাকি?’ এবং এরপর তাদের বের করে দেন। শিক্ষার্থীরা এতে মানসিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
শিক্ষিকার ব্যাখ্যা
ঘটনার পর শিক্ষক ফজিলাতুন নাহার সাংবাদিকদের বলেন, “স্কুলের নির্ধারিত ড্রেস কোড অনুযায়ী পর্দা করতে হলে সাদা স্কার্ফ পরতে হয়। অনেকে নিয়ম না মেনে অন্যান্য রঙের ওড়না পরে এসেছিল, তাই তাদের ক্লাসে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।” তবে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়ে তার কাছ থেকে আর কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের প্রতিক্রিয়া
ঘটনাটি সামনে আসার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়। অনেকে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ দাবি করেন, অন্যদিকে কেউ কেউ বিষয়টিকে ভুল বোঝাবুঝি বলেও মনে করছেন। স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে এবং সুষ্ঠু সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
১৮১ বার পড়া হয়েছে