ডাকসু নির্বাচনে দুই ক্রীড়া সম্পাদক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত

রবিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৫ ১:৫৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন্ন ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে দুটি হলের বহিরাঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে ভোট ছাড়াই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন দুই প্রার্থী।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল থেকে রেহেনা আক্তার এবং শামসুন নাহার হল থেকে লামিয়া আক্তার (লিমা) এই পদে নির্বাচিত হতে চলেছেন।
রেহেনা আক্তার, লোকপ্রশাসন বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী এবং বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২০ নারী ফুটবল দলের সদস্য। এর আগে তিনি অনূর্ধ্ব-১৯ নারী দলের হয়েও খেলেছেন। খেলোয়াড় হিসেবে হলজুড়ে তাঁর পরিচিতির কারণেই এই পদে অন্য কেউ মনোনয়ন জমা দেননি বলে মনে করছেন তিনি। তাঁর ভাষায়, “খেলোয়াড় হিসেবে আমার পরিচিতি থাকায় বহিরাঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে হলের অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি।”
রেহেনার প্রার্থিতাকে ঘিরে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের পক্ষ থেকেও শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। সংগঠনটির প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদের বলেন, “রেহেনার সঙ্গে আমাদের প্যানেলের কারও বোঝাপড়া হয়ে থাকতে পারে। তিনি আমাদের একজন শুভাকাঙ্ক্ষী।”
অন্যদিকে, শামসুন নাহার হল থেকে বহিরাঙ্গন ক্রীড়া সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন ছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী লামিয়া আক্তার। তিনি বাংলা বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী। এ বিষয়ে তিনি এখনো কোনো মন্তব্য করতে চাননি।
তবে এ বিষয়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন বলেন, “একটি নির্দিষ্ট পদে আর কোনো প্রার্থী না থাকা কাকতালীয়। তবে আমরা কারও সঙ্গে কোনো সমঝোতা করিনি। সব পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হলে ভালো হতো। অন্য ছাত্রসংগঠনগুলো কেন পূর্ণাঙ্গ প্যানেল দেয়নি, সেটাও প্রশ্নবিদ্ধ।”
নির্বাচনী চিত্র
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮টি হলের মধ্যে ৫টি ছাত্রীদের জন্য। প্রতিটি হল সংসদে ১৩টি করে পদ রয়েছে—যার মধ্যে ভিপি, জিএস, এজিএসসহ সম্পাদকীয় ও সদস্য পদ অন্তর্ভুক্ত। সব মিলিয়ে ২৩৪টি হল সংসদীয় পদে এবারে মোট ১,১০৮টি বৈধ মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
কেন্দ্রীয় ডাকসুতে এবার নতুনভাবে যুক্ত হয়েছে গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদ। এই পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সানজিদা আহমেদ (তন্বি) ইতিমধ্যেই আলোচনায় এসেছেন। জুলাই মাসে ‘গণ-অভ্যুত্থানে’ আহত হওয়ার পর তাঁর ছবি ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং আলোড়ন তোলে। তাঁকে সমর্থন জানিয়ে ছাত্রদলসহ অন্তত পাঁচটি প্যানেল এই পদে নিজস্ব প্রার্থী দেয়নি।
সানজিদা বলেন, “আমি লড়াই করেই জিততে চাই। নির্বাচনী ইশতেহার প্রস্তুত করছি। নির্বাচিত হলে শিক্ষার্থীদের ভোটের মর্যাদা রক্ষায় সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
ডাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে প্রাথমিকভাবে ৪৮ জন, জিএস পদে ১৯ জন এবং এজিএস পদে ২৮ জন প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ হয়েছে। ১২টি সম্পাদকীয় পদের জন্য প্রার্থী সংখ্যা ৯ থেকে ১৯ জনের মধ্যে।
আগামী ২৬ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেক প্রার্থী এরই মধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ‘কুশল বিনিময়’ শুরু করে দিয়েছেন। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর।
২৫০ বার পড়া হয়েছে