সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ছাত্র, কর্মী, পর্যটক সবাই ঝুঁকিতে

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ মিলিয়ন ভিসাধারীর বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান

মনজুর এহসান চৌধুরী
মনজুর এহসান চৌধুরী

শুক্রবার, ২২ আগস্ট, ২০২৫ ৬:৩৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসাধারীদের বিরুদ্ধে নজিরবিহীন আইনি ও প্রশাসনিক অভিযান শুরু হয়েছে।

বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন ২১ আগস্ট, ২০২৫-এ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও যখন সকল বিদেশি ট্রাক ড্রাইভারদের জন্য ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত করার ঘোষণা দেন, তখন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, তারা প্রায় ৫৫ মিলিয়ন ভিসাধারি এবং আবেদনকারীর তথ্য পুনরায় যাচাই (vetting) করছে—ছাত্র, কর্মী, পর্যটক—সরাসরি কঠোর যাচাই ও ডিপোর্টেশনের আওতায় পড়েছেন।


কাদের টার্গেট করা হচ্ছে?
প্রথমেই ছাত্র (F-1/J-1), এইচ-১বি প্রযুক্তি কর্মী, এবং পর্যটক/বিজনেস ভিসাধারীরা টার্গেট।
ছাত্রভিসার ক্ষেত্রে, ৬,০০০ ভিসা ইতিমধ্যেই বাতিল হয়েছে—অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড, রাজনৈতিক প্রতিবাদ ও সোশ্যাল মিডিয়া অভিযুক্ত পোস্টের জন্য।
এইচ-১বি কর্মীদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে কাজ, জাতীয় নিরাপত্তার বাহিরে কর্মসংস্থান, এবং সামাজিক যোগাযোগ রেকর্ডের কারণে বাতিলের হার বেড়েছে।
পর্যটক ও ব্যবসায়িক ভিসাধারীদের মধ্যে বেআইনি অবস্থান বা অপরাধপ্রবণতা থাকলে ‘summary removal’-এর ঝুঁকি বেশি।
সোশ্যাল মিডিয়া যাচাইএর নিয়ম ও মাপকাঠি
যুক্তরাষ্ট্রে ভিসা আবেদনকালে এখন বাধ্যতামূলকভাবে সকল প্রধান সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট তথ্য জমা দিতে হয়।
AI ও অটোমেটেড টুলসের মাধ্যমে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার, টিকটক ইত্যাদি সবকিছু স্ক্যান করা হচ্ছে।
উগ্রবাদী, সন্ত্রাস সমর্থক, সরকারবিরোধী, অথবা অপরাধ সংক্রান্ত পোস্ট পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে ‘red flag’, দ্রুত আইনি পদক্ষেপ।


ভিসা বাতিলের আইনি ও প্রশাসনিক ভিত্তি
আইনগতভাবে ইমিগ্রেশন এবং ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট (INA) Section 212(a), 237(a), ও DHS ও State Department-এর প্রবিধানে এগুলো ভিসা বাতিলের জন‍্য মূল ভিত্তি।
ভুল-জাল ডকুমেন্ট, অপরাধ, overstay, সন্ত্রাস সংশ্লিষ্টতা, অথবা নিরাপত্তা হুমকি থাকলে, ডিপোর্টেশন করা হবে।

ডিপোর্টেশন প্রক্রিয়া: কীভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে?
‘Continuous Vetting’-এর মাধ্যমে সকল ভিসাধারীর রেকর্ড AI-ভিত্তিক অ্যালগরিদমে যাচাই করা চলছে। তথ্য-ভিত্তিতে যেসব ব্যক্তিকে ঝুঁকিপূর্ণ, তাদের কাছে ‘removal proceeding’ নোটিশ পাঠানো হবে, এরপর ইমিগ্রেশন কোর্টে মামলা, এবং অবৈধ বা অপরাধী হলে হোমল্যান্ড সিকিউরিটির মাধ্যমে deportation—অর্থাৎ, নিজ দেশে ফেরত পাঠানো।

ছাত্রভিসা বাতিলের কারণ
ছাত্রদের ক্ষেত্রে ক্লাসে না যাওয়া, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিয়ম লঙ্ঘন। অপরাধ, মাদক, মিথ্যা তথ্য। সোশ্যাল মিডিয়াতে উগ্র রাজনৈতিক বা সন্ত্রাস সংক্রান্ত পোস্ট করা।

নিরাপত্তা ও অভ্যন্তরীণ দৃষ্টিকোণ
সরকারি ব্যাখ্যা অনুযায়ী, জনগণ ও স্টেট সিকিউরিটি জোরদারের ভবিষ্যৎ লক্ষ্যেই কোনো সন্দেহভাজন কার্যকলাপ, অপরাধ, সন্ত্রাস, অথবা সরকারবিরোধী তৎপরতায় অন্তর্ভুক্ত হলে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, অভিবাসী সংগঠনগুলি উদ্বেগ প্রকাশ করেছে—‘continuous vetting’ ও সোশ্যাল মিডিয়া চেক অভিবাসী অধিকার সংকুচিত করতে পারে।

সার-সংক্ষেপ
যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫ মিলিয়ন ভিসাধারীর ভাগ্যে শঙ্কা তৈরি হয়েছে—আইন, নিরাপত্তা, এবং AI-ভিত্তিক যন্ত্র নিরীক্ষার মাধ্যমে। ছাত্র, কর্মী, পর্যটক—সবাই আলোচনার আওতায়।
ভিসা বাতিল ও দ্রুত deportation এখন বাস্তবতা, যার পেছনে আইনি এবং প্রশাসনিক শক্তি গতিশীলভাবে কাজে লাগছে। 

১৬৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন