সর্বশেষ

জাতীয়

ধানমন্ডি ৩২-এ রিকশাচালক গ্রেফতার নিয়ে সরকারের ব্যাখ্যা তলব, জামিন মঞ্জুর

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১১:১৯ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে এসে গণপিটুনির শিকার হওয়া রিকশাচালক আজিজুর রহমানকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতারের ঘটনায় ব্যাখ্যা চেয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।

একই সঙ্গে এই গ্রেফতার প্রক্রিয়া ও সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার ভূমিকা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহম্মদ এক বিবৃতিতে জানান, ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কাছে আজিজুর রহমানকে গ্রেফতারের বিষয়ে ব্যাখ্যা তলব করা হয়েছে। এছাড়া ওসির সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্যে কোনো অসঙ্গতি রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আজিজুর রহমানকে ধানমন্ডি থানা এলাকার একটি পুরনো হত্যাচেষ্টা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়। গতকাল শনিবার (১৬ আগস্ট) তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোহাম্মদ তৌহিদুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আবেদন করলে, আদালত তা মঞ্জুর করেন।

এদিকে, আজ রোববার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলামের আদালত আজিজুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।

তার আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখী জামিন আবেদন করেন। পরে আদালত এক হাজার টাকা মুচলেকায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করেন।

প্রসঙ্গত, আজিজুর রহমান ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গেলে সেখানেই জনতার সন্দেহ ও উত্তেজনার কারণে গণপিটুনির শিকার হন এবং পরে পুলিশ তাকে আটক করে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আজিজুর রহমানকে ২০২৪ সালের ২ এপ্রিল ধানমন্ডি থানায় দায়ের হওয়া একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। মামলাটি দায়ের করেছিলেন আরিফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি। অভিযোগে বলা হয়, গত বছরের ৪ আগস্ট ‘জুলাই আন্দোলন’ চলাকালে নিউমার্কেট থেকে সায়েন্সল্যাবের দিকে যাওয়ার সময় হামলার শিকার হন তিনি। হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে দুই মাস চিকিৎসা নেন আরিফুল।

এদিকে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) জানিয়েছে, ধানমন্ডি ৩২ নম্বর এলাকা থেকে আটক আজিজুর রহমানকে ওই হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি করা হয়নি; বরং তিনি সন্দেহভাজন হিসেবে তদন্তের আওতায় আছেন।

সরকারের পক্ষ থেকে মামলার তদন্ত কার্যক্রম দ্রুত সম্পন্ন করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৭৩(এ) ধারা অনুযায়ী দ্রুত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

১৫৬ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন