সর্বশেষ

জাতীয়খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন নেয়া হতে পারে
জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আরও ৩৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিএনপি
অন্তর্বর্তী সরকার ইস্যু: হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখল আপিল বিভাগ
ইন্টারনেট বন্ধ ও গণহত্যা: ফরমাল চার্জ গ্রহণ, জয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
বাম জোটের মিছিলে পুলিশের বাধা, লাঠিচার্জে আহত কয়েকজন
ভোরে কেঁপে উঠল রাজধানী, অল্পমাত্রার ভূমিকম্পে আতঙ্ক
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত, মেডিকেল টিমের পর্যবেক্ষণ অব্যাহত, শুক্রবার সারাদেশে প্রার্থনার আহ্বান সরকারের
দেশজুড়ে শীতের দাপট বাড়ছে, উত্তরে তাপমাত্রা নামতে পারে ১০ ডিগ্রিতে : আবহাওয়া অফিস
সারাদেশপাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি যুবক নিহত
সোনাপুরে বিআরটিসি ডিপোতে আগুন: দুই বাস পুড়ে ছাই
চারণকবি বিজয় সরকারের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
আন্তর্জাতিকপুতিনের ভারত সফরের আগেই গুরুত্বপূর্ণ সামরিক চুক্তির অনুমোদন
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় দুই শিশুসহ সাত ফিলিস্তিনি নিহত
খেলারায়পুরে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৪ উইকেটে হেরে সিরিজে সমতা করেছে ভারত
সারাদেশ

নেত্রকোনায় বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ যতীন সরকারের শেষকৃত্য সম্পন্ন

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
নেত্রকোনা প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার , ১৪ আগস্ট, ২০২৫ ৫:২০ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক ও মার্কসবাদী চিন্তাবিদ অধ্যাপক যতীন সরকারের শেষকৃত্য বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোরে নেত্রকোনা মহাশ্মশানে সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে বুধবার রাত ১টার দিকে তার মরদেহ শ্মশানে নেওয়া হয়।

বুধবার দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর।

মরদেহ রাত সোয়া আটটার দিকে নেত্রকোনায় পৌঁছালে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হয়। সেখানে নেত্রকোনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।

এরপর মরদেহ জেলা উদীচীর কার্যালয়ে নেওয়া হয় রাত ৯টায় এবং পরে রাত ১০টায় সাতপাই এলাকার নিজ বাসভবন ‘বাণপ্রস্থে’ নেওয়া হয়।

অধ্যাপক যতীন সরকার ১৯৩৬ সালের ১৮ আগস্ট নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার চন্দপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৫৯ সালে আনন্দমোহন কলেজ থেকে বিএ এবং ১৯৬৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। কর্মজীবনে তিনি আশুজিয়া, বারহাট্টা ও গৌরীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর নাসিরাবাদ কলেজে দীর্ঘদিন বাংলা বিভাগের শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

অবসরের পর তিনি নেত্রকোনায় ফিরে এসে লেখালেখি ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকা রাখেন। বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর কেন্দ্রীয় সংসদের দুইবার সভাপতি ছাড়াও তিনি ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনার বহু সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

১৯৮৫ সালে তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘সাহিত্যের কাছে প্রত্যাশা’ প্রকাশিত হয়। আজীবন লেখালেখির মাধ্যমে তিনি অন্তত ৭০টির বেশি গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর সাহিত্য ও চিন্তাভাবনার জন্য তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (২০০৭), স্বাধীনতা পদক (২০১০), ড. এনামুল হক স্বর্ণপদক (১৯৬৭), খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৭) এবং প্রথম আলোর বর্ষসেরা বই পুরস্কার (২০০৫) সহ অসংখ্য সম্মাননায় ভূষিত হন।

অধ্যাপক যতীন সরকারের মৃত্যুতে দেশের সাহিত্য, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

২৬৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন