সর্বশেষ

সারাদেশ

বান্দরবানে টানা বৃষ্টিতে নদীর পানি বৃদ্ধি, পাহাড়ধসের আশঙ্কা

মো.আরিফ, বান্দরবান
মো.আরিফ, বান্দরবান

বুধবার, ৯ জুলাই, ২০২৫ ৯:১৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
বান্দরবানে টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিপাতের ফলে সাঙ্গু নদীর পানি ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে নদীতীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী মানুষের মাঝে উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ধসের সম্ভাবনাও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, জেলার লাঙ্গিপাড়া, বালাঘাটা, কালাঘাটা, ক্যাচিংঘাটা ও সাইঙ্গাসহ পাহাড়ঘেরা বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে অনিয়ন্ত্রিতভাবে পাহাড় কাটা এবং ভারী বৃষ্টিপাত এই ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে তুলছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সনাতন কুমার মণ্ডল জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টিপাতের এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলেও তিনি সতর্ক করেন। পাহাড়ঘেঁষা এলাকায় বসবাসরত মানুষজন বর্তমানে গুরুতর ঝুঁকিতে রয়েছেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও সচল থাকলেও পাহাড়ধসে কিছু কিছু স্থানে রাস্তার ওপর মাটি পড়ায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এসব এলাকায় যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

রুমা উপজেলার ২ নম্বর সদর ইউনিয়নের আশ্রম পাড়া এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। স্থানীয় সাংবাদিক অংবাচিং মারমার বাড়ির সামনের পাহাড়টি গভীর রাতে ধসে পড়ে। ভাগ্যক্রমে কেউ হতাহত না হলেও পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

জেলার লামা, থানচি, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়িসহ পাহাড় অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকায়ও পাহাড়ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি জানান, “ধারাবাহিক বৃষ্টিপাতের প্রেক্ষিতে জেলার সাতটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ি এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।”

তিনি আরও জানান, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির পক্ষ থেকে জরুরি যোগাযোগের জন্য একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হয়েছে। জেলা প্রশাসক বলেন, “আমরা সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। এখন পর্যন্ত কোনো বড় ধরনের দুর্ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। তবে কিছু এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার অবনতি ঘটেছে, যা দ্রুত সংস্কারের কাজ চলছে।”

পাহাড়ি এলাকার মানুষজনকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, “বৃষ্টিপাতের ধারা অব্যাহত থাকায় সবাইকে সাবধান থাকতে হবে। জরুরি প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।”

১৩৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন