সর্বশেষ

সারাদেশ

দৌলতপুরের গ্রামে কুরআনের আলো ছড়াচ্ছে শতাধিক শিশু-কিশোর

মোঃ আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া
মোঃ আতিয়ার রহমান, দৌলতপুর, কুষ্টিয়া

শনিবার, ৫ জুলাই, ২০২৫ ১২:৪২ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের হোসেনাবাদ কান্দির পাড়া গ্রামের প্রধান জামে মসজিদে প্রতিষ্ঠিত একটি মকতব বর্তমানে শতাধিক শিশু-কিশোরের দ্বীনি শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।

পাঁচ বছর আগে শুরু হওয়া এই শিক্ষালয়টি ধীরে ধীরে কুরআন ও হাদিস শিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য আশ্রয়স্থলে রূপ নিয়েছে।

বর্তমানে এখানে নিয়মিত ৯০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী কুরআন তেলাওয়াত, হিফজ এবং ইসলামী আদর্শে গড়ে ওঠার পাঠ নিচ্ছে। ইতিমধ্যে অনেকেই কুরআন শিক্ষা সম্পন্ন করে নিজ নিজ পরিবার ও সমাজে নৈতিকতার দীপ্তি ছড়াচ্ছে। শুধু ধর্মীয় জ্ঞানই নয়, এই মকতব শিশুদের মাঝে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তুলতেও অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে। যার ফলশ্রুতিতে গোটা গ্রামজুড়ে গড়ে উঠেছে একটি শান্তিপূর্ণ ও শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ।

এই ধারাবাহিকতায় শনিবার (৫ জুলাই) দুপুরে মসজিদ প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় এক বিশেষ পুরস্কার বিতরণ ও আলোচনা সভার। এতে অংশ নেন মকতবের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকার বিশিষ্টজনেরা। শিক্ষার্থীদের মেধা, নিয়মিত উপস্থিতি ও অধ্যবসায়ের ভিত্তিতে পুরস্কৃত করা হয়। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, “মসজিদকেন্দ্রিক ধর্মীয় শিক্ষা শিশুদের নৈতিক ভিত্তি গড়ে তোলে এবং একটি সুশৃঙ্খল সমাজ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

অনুষ্ঠান শেষে অতিথিদের জন্য ছিল মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন।

মকতবের শিক্ষার্থী মারিয়া বলেন, “স্কুলের পাশাপাশি প্রতিদিন আমরা আসরের নামাজের পর এখানে কুরআন ও হাদিস শিখি। এটা আমাদের জীবনের পথচলায় দিকনির্দেশনা দেয়।”

এক অভিভাবক মুজাম্মেল হক জানান, “আমার দুই কন্যা এই মকতবে পড়ে। কাছাকাছি এমন একটি দ্বীনি শিক্ষাকেন্দ্র থাকায় আমরা পরিবার হিসেবে অনেক উপকৃত।”

মসজিদের খতিব ও মকতবের প্রধান শিক্ষক হজরত মাওলানা মেহেদী হাসান বলেন, “প্রথমে হাতে গোনা কয়েকজন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু করেছিলাম। আজ এলাকাবাসীর ভালোবাসা, সহায়তা ও আল্লাহর অশেষ রহমতে এই মকতব শতাধিক শিক্ষার্থীর দ্বীনি শিক্ষার ঘরবাড়ি হয়ে উঠেছে।”

স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, সম্মিলিত চেষ্টায় গড়ে ওঠা এই উদ্যোগ ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত পরিসরে দ্বীনি শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেবে, ইনশাআল্লাহ।

১২৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন