সর্বশেষ

জাতীয়অমর একুশে বইমেলা-২০২৬ শুরু হচ্ছে ২০ ফেব্রুয়ারি
নির্বাচন নিয়ে প্রতিবেশীদের নসিহত গ্রহণযোগ্য নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনের নিরাপত্তা ইস্যুতে নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার তলব
রাজধানীর ইসলামপুরে প্লাস্টিকের গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৬ ইউনিট
বিদেশগমন প্রক্রিয়ায় দুর্নীতি ও হয়রানি কমেছে: আসিফ নজরুল
ছেঁড়া ও পোড়া নোট বদলে মূল্য ফেরতে নতুন নীতিমালা বাংলাদেশ ব্যাংকের
‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে প্রবাসী নিবন্ধন ছাড়াল ৪ লাখ ৪৫ হাজার
হাদি হত্যাচেষ্টা মামলায় প্রধান আসামির বাবা–মা গ্রেফতার
টিসিবিতে ৩৬ জেলায় নতুন পরিবেশক নিয়োগ, আবেদন শুরু
ভূমধ্যসাগরে অভিবাসীবাহী নৌকাডুবি, ৫৯ বাংলাদেশিসহ ৬১ জন উদ্ধার
সারাদেশঈশ্বরদীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বিএনপি নেতা নিহত
নানা বিতর্কের মধ্যেই আজ রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন
হাদির ওপর হামলায় ‘ব্যবহৃত’ পিস্তলসহ গুলি নরসিংদী থেকে উদ্ধার
আন্তর্জাতিকফিলিস্তিনিসহ ও ৭ দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
খেলানিজের সর্বোচ্চ মূল্যে দল পেয়ে আইপিএল নিলামে ইতিহাস গড়লেন মুস্তাফিজ
সারাদেশ

চাটমোহরে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের নাক ফাটালেন সহকারী শিক্ষক

পাবনা প্রতিনিধি
পাবনা প্রতিনিধি

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ ১১:১৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
পাবনার চাটমোহরে তুচ্ছ ঘটনায় এক সহকারী শিক্ষকের হাতে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রের নাক ফেটে রক্তাক্ত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

বুধবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার ছাইকোলা ইউনিয়নের কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শিশুর নাম সোয়াদ হোসেন (৮)। সে ওই এলাকার মুকুল হোসেনের ছেলে এবং কানাইয়েরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র। অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান ওরফে জিয়া হাফিজ বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে জানা গেছে, ক্লাস চলাকালীন সময় শিক্ষক হাফিজুর রহমানের অনুমতি নিয়ে শ্রেণিকক্ষের বাইরে যায় সোয়াদ। তবে কিছুটা দেরি করে ফেরায় শ্রেণিকক্ষে প্রবেশের সময় শিক্ষক তাকে চড় মারেন। চড়টি সরাসরি তার নাকে লেগে মারাত্মক জখম হয় এবং নাক দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় চিকিৎসক ও পরে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

শিশুটির বাবা মুকুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, "শিক্ষকরা প্রয়োজনে শাসন করতেই পারেন। কিন্তু শাসনের নামে এমনভাবে মারধর করে রক্তাক্ত করবে এটা আমি একজন বাবা হিসেবে কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।"

বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, "ঘটনার সময় আমি অফিসে ছিলাম। পরে বিষয়টি শুনে খোঁজ নিই এবং শিশুটির বাড়িতে গিয়ে তার অবস্থাও দেখে এসেছি। বিষয়টি আমি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষক মৌখিকভাবে ছুটি নিয়ে বাড়ি চলে গেছেন।"

অভিযুক্ত শিক্ষক হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, "ছেলেটি বারবার ক্লাস থেকে বাইরে যাচ্ছিল। একাধিকবার ডাকার পরও সে গুরুত্ব দিচ্ছিল না। পরে ক্লাসে ঢোকার সময় তাকে চড় মারলে তা নাকে লেগে যায়। এটা অনিচ্ছাকৃত দুর্ঘটনা। আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।"

এ বিষয়ে চাটমোহর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, "বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।"

ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। অভিভাবকরা শিক্ষক কর্তৃক শারীরিক শাস্তির পদ্ধতি ও সীমা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

৩৫০ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন