সুন্দরবনে ৩০০ ফাঁদসহ হরিণ শিকারি আটক

সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫ ১১:০৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সুন্দরবনের পূর্বাঞ্চলের কচিখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য থেকে হরিণ শিকারের জন্য পাতা ৩০০ মালা ফাঁদসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বন বিভাগ।
সোমবার (৩০ জুন) সকালে শরণখোলা রেঞ্জের সুখপাড়া খাল–সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তির নাম আরিফুল ইসলাম। তিনি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কোরাইল্যা গ্রামের বাসিন্দা এবং আবদুল খালেকের ছেলে। অভিযানে বন কর্মকর্তারা তাঁর কাছ থেকে ৩০০টি ফাঁদ, একটি ছুরি, করাত ও প্লাস্টিকের রশি উদ্ধার করেন।
সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, অভিযানের সময় আরিফুলের সঙ্গে থাকা আরও দুই ব্যক্তি বনের ভেতর পালিয়ে যান। তাঁদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটার একাধিক সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে সুন্দরবনে হরিণ শিকারে জড়িত। বিশেষ করে জ্ঞানপাড়াসহ কয়েকটি এলাকায় সক্রিয় রয়েছে এ ধরনের শিকারি দল। এরা বলেশ্বর নদ পার হয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করে এবং রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে বারবার পার পেয়ে যায়।
আটক আরিফুল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন, তিনি পাথরঘাটার কুখ্যাত হরিণ শিকারি নাসির গ্যাংয়ের সদস্য। নাসির বন বিভাগের তালিকাভুক্ত অপরাধী বলেও নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।
নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও শিকার:
উল্লেখ্য, সুন্দরবনে বর্তমানে চলছে বন্যপ্রাণীর প্রজনন মৌসুম। এ কারণে ১ জুন থেকে তিন মাস সাধারণ মানুষের বনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। বনজীবী, পর্যটক, মাছ ও মধু সংগ্রহকারীদের এই সময় বন থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে বন বিভাগ।
ডিএফও রেজাউল করিম আরও বলেন, ‘‘সুন্দরবনের দুর্গম এলাকায় হেঁটে টহল দেওয়া অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। বাঘ, কুমির, সাপসহ নানা বন্যপ্রাণীর আক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। তারপরও শিকারি দমন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় আমাদের টহল জোরদার করা হয়েছে।’’
তিনি জানান, গত দুই মাসে সুন্দরবনজুড়ে চালানো অভিযানে তিন হাজারের বেশি হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে।
১২৩ বার পড়া হয়েছে