খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক নিহত, আহত ২

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫ ৫:৪০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
খুলনার রূপসা উপজেলায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাব্বির হোসেন (২৬) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও দুইজন।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাতে উপজেলার রাজাপুর গ্রামের পপুলার এলাকায় সোহাগ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সাব্বির নগরীর শেখপাড়া এলাকার ফজলুল হকের ছেলে। গুলিবিদ্ধদের মধ্যে একজন হলেন সাদ্দাম হোসেন, সোনাডাঙ্গার সোনার বাংলা গলির বাসিন্দা। তাকে গুরুতর অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হয়। আহত অপর যুবক মিরাজ (স্থানীয়ভাবে পরিচিত 'কাউয়া মিরাজ') হাসপাতালে চিকিৎসা না নিয়েই পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ৯টার দিকে সোহাগের বাড়িতে আকস্মিকভাবে গোলাগুলি শুরু হয়। গুলির শব্দ পেয়ে এলাকাবাসী এগিয়ে গেলে বাড়ির ভেতর সাব্বিরের নিথর দেহ দেখতে পান। পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠায়।
রূপসা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহফুজুর রহমান বলেন, “নিহত ও আহত তিনজনই খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ঘনিষ্ঠ সহযোগী। সোহাগ, যার বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে, তিনিও একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী।”
তিনি আরও জানান, "ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির খোসা, ৪ রাউন্ড তাজা গুলি, কিছু ইয়াবা এবং গ্রেনেড সদৃশ একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। সাব্বিরের মাথার পেছন থেকে ঢুকে গুলি একটি চোখ ভেদ করে বেরিয়ে যায়। সাদ্দামের মাথার পেছনেও গুলি বিদ্ধ হয়।"
খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো. আনিসুজ্জামান জানান, “গত মাসে রূপসায় কালা রনি নামে এক সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়। সেই হত্যাকাণ্ডে প্রধান সন্দেহভাজন ছিলেন সাব্বির। আজকের ঘটনাটি সেই হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে ঘটতে পারে বলে আমরা মনে করছি।”
তিনি বলেন, “হামলাকারী ও ভুক্তভোগী—দুই পক্ষই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। দোষীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।”
সাব্বিরের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পুলিশ বলছে, পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে এবং শিগগিরই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
১২০ বার পড়া হয়েছে