সর্বশেষ

সারাদেশ

পানি কমছে সিলেটে, কিন্তু তলিয়ে গেছে আউশ ধান ও বীজতলা

সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট প্রতিনিধি

বৃহস্পতিবার , ৫ জুন, ২০২৫ ৩:৩১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সিলেট অঞ্চলে বৃষ্টিপাত ও ভারতীয় সীমান্ত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলের প্রবাহ কমে আসায় ধীরে ধীরে নদ-নদীর পানি হ্রাস পাচ্ছে।

তবে জেলার চারটি উপজেলায় এখনো বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। বিশেষ করে জকিগঞ্জে কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পর প্লাবিত গ্রামগুলোতে দুর্ভোগ পিছু ছাড়ছে না।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. আবদুল কুদ্দুস বুলবুল জানিয়েছেন, বুধবার (৪ জুন) বিকেল পর্যন্ত জকিগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, ওসমানীনগর ও গোলাপগঞ্জ উপজেলায় প্রায় ১৮ হাজার ৬৬১ জন মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে ২৮০ জন বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছেন। বন্যার্তদের মাঝে ৩৪ মেট্রিক টন চাল ও ১৩২ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, “নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। তবে পাহাড়ি ঢলের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় পানি কিছুটা ওঠানামা করতে পারে। আশা করছি, দুই দিনের মধ্যে পরিস্থিতির উন্নতি হবে।”

জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহবুবুর রহমান জানান, এখনো ৪৮টি গ্রাম পানির নিচে রয়েছে। নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ৫৭টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে, যার মধ্যে ৪টি কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন ৪০টি পরিবারের মোট ১১৫ জন।

বন্যার কারণে আউশ ধানের খেত ও বীজতলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলায় বেশ কিছু গ্রামীণ সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থাও ব্যাহত হচ্ছে।

এদিকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট আবহাওয়া অফিস জানায়, গত ২৪ ঘণ্টায় (বুধবার সকাল ৬টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত) সিলেটে ১৭.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

১২৩ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন