সচিবালয়ে বিক্ষোভ: উপদেষ্টাদের স্মারকলিপি, ঈদের পর কঠোর আন্দোলন

সোমবার, ২ জুন, ২০২৫ ৮:১৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ অবিলম্বে বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা আজ অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার দপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন।
এর আগে সচিবালয়ের বাদামতলায় তারা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
বিক্ষোভের নেতৃত্বে থাকা বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, ঈদুল আজহার পরও যদি অধ্যাদেশটি বাতিল না করা হয়, তবে তারা সারা দেশে কঠোর আন্দোলনে নামবেন। এ লক্ষ্যে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান তারা।
আজ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের দপ্তরে স্মারকলিপি দেওয়া হলেও, উপদেষ্টা দুজনই সে সময় দপ্তরে অনুপস্থিত ছিলেন।
আগামীকাল অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের কাছেও স্মারকলিপি দেওয়ার কর্মসূচি রয়েছে আন্দোলনকারীদের। এর আগে রোববার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু, রেলপথ, খাদ্য, ভূমি এবং পরিবেশ ও পানিসম্পদ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টাদের দপ্তরেও স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়েছে।
সমাবেশে ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান বাদীউল কবীর বলেন, “এই কালো অধ্যাদেশ শুধু সচিবালয়ের নয়, সারা দেশের সরকারি দপ্তরের কর্মচারীদের ক্ষুব্ধ করেছে। শান্তিপূর্ণ অবস্থানকে দুর্বলতা ভাবলে তা সরকারের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে।” তিনি ঈদের পর কঠোর আন্দোলনের জন্য প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানালে কর্মচারীরা সাড়া দেন সমবেত কণ্ঠে।
বিক্ষোভে আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের কো-চেয়ারম্যান মুহা. নূরুল ইসলাম এবং কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত এক সপ্তাহ ধরে সরকারি চাকরি সংশোধন অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ের কর্মচারীরা কর্মবিরতি, বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি প্রদানের মতো কর্মসূচি পালন করে আসছেন। আন্দোলনের মধ্যেই সরকার অধ্যাদেশটি জারি করে, যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
১২৩ বার পড়া হয়েছে