সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইরানকে পরমাণু চুক্তির নতুন প্রস্তাব পাঠাল যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫ ৮:৫১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
যুক্তরাষ্ট্র নতুন একটি পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব ইরানের কাছে পাঠিয়েছে। শনিবার (৩১ মে) হোয়াইট হাউস এ তথ্য নিশ্চিত করে।

ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে ওমানের মধ্যস্থতায় এই প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি জানান, ওমানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আলবুসাইদি তেহরান সফরে এসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক তুলে ধরেছেন।

এমন সময় এই প্রস্তাব পাঠানো হলো, যখন আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থা (IAEA) প্রকাশ করেছে যে, ইরান ৬০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ ৪০০ কেজিরও বেশি ইউরেনিয়াম মজুত করেছে—যা বেসামরিক চাহিদার তুলনায় অনেক বেশি। উল্লেখ্য, পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে প্রয়োজন ৯০ শতাংশ মাত্রায় সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম।

হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলাইন লিয়াভিট বলেন, “বর্তমান পরিস্থিতিতে এই চুক্তিতে সম্মতি দেওয়া ইরানের জন্য সবচেয়ে যুক্তিসঙ্গত পদক্ষেপ।” তিনি আরও জানান, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের মাধ্যমে একটি বিস্তারিত ও গঠনমূলক প্রস্তাব তেহরানের কাছে পাঠানো হয়েছে, যদিও এর পূর্ণ বিবরণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

এদিকে, ইরানের প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আরাঘচি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ লেখেন, “জাতীয় স্বার্থ, নীতি ও জনগণের অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবে জবাব দেওয়া হবে।”

IAEA তাদের প্রতিবেদনে সতর্ক করে বলেছে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মাত্রা বর্তমানে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যা দিয়ে ১০টি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা সম্ভব। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান এখন বিশ্বের একমাত্র পারমাণবিক অস্ত্রহীন দেশ, যারা এত উচ্চমাত্রার ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে।

এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স ও জার্মানি মিলে IAEA-এর বোর্ড অব গভর্নরস বৈঠকে ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT) লঙ্ঘনের অভিযোগ আনতে পারে।

তবে তেহরান এই প্রতিবেদনকে “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে আখ্যা দিয়ে জানিয়েছে, যদি তাদের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়, তাহলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া জানানো হবে।

এর আগে ২০১৫ সালে স্বাক্ষরিত ‘জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন (JCPOA)’ থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চুক্তিটি বাতিলের পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ওপর নতুন করে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময় থেকেই ইরান তাদের পরমাণু কার্যক্রম জোরদার করে।

বর্তমানে আলোচনার মাধ্যমে নতুন একটি চুক্তির সম্ভাবনা তৈরি হলেও দুই পক্ষের মধ্যে এখনও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে মতবিরোধ রয়ে গেছে। বিশেষ করে, ভবিষ্যৎ চুক্তির আওতায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ অব্যাহত রাখা নিয়ে দ্বিধা রয়েছে।

IAEA-এর সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ইরান প্রতি মাসে একটি পরমাণু বোমা তৈরির উপযোগী ইউরেনিয়াম উৎপাদন করছে। যদিও তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি পুরোপুরি শান্তিপূর্ণ।

১৩৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন