সর্বশেষ

রাজনীতি

বিএনপির 'তারুণ্যের' সমাবেশে জনস্রোত, সরকারের তীব্র সমালোচনা নেতাদের

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

বুধবার, ২৮ মে, ২০২৫ ১২:১৮ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
বিএনপির তিন অঙ্গ সংগঠন- ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক সমাবেশে রাজধানীর নয়াপল্টনে বুধবার দুপুরে জনস্রোতের সৃষ্টি হয়।

সমাবেশ শুরুর নির্ধারিত সময় দুপুর ২টা থাকলেও সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকেরা।

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও দলীয় পতাকা হাতে নিয়ে মিছিল করে সমাবেশস্থলে আসেন। স্লোগান ও বাদ্যযন্ত্রের তালে তালে প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে নয়াপল্টনের বিএনপি কার্যালয়সংলগ্ন এলাকা।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা এ সমাবেশে সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র সমালোচনা করে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ঐক্যের আহ্বান জানান। বিকেলে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “গণতন্ত্রের পথ নির্বাচন। এই নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে আর টালবাহানা চলবে না।” তিনি আরও বলেন, “সংস্কারের দাবি জনগণের। এ ব্যাপারে কোনো চাপিয়ে দেওয়া সংস্কার জনগণ মানবে না।”

সমাবেশে বিএনপির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমরা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার পদত্যাগ চাইনি, চেয়েছি নির্বাচনের রোডম্যাপ। অথচ তিনি নাটক করেছেন পদত্যাগ নিয়ে।” তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দেশের সম্পদ লুটপাটের মাত্রা ব্রিটিশ আমলের চেয়েও বেশি।

তিনি বলেন, “৩০ লাখ কোটি টাকা পাচার হয়েছে, ৪ লাখ কোটি টাকা খেলাপি ঋণ, ব্যাংক ও বিদ্যুৎ খাতে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, তারেক রহমানের নেতৃত্বেই নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।”

পরে মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মির্জা আব্বাস অভিযোগ করেন, “অন্তর্বর্তী সরকার থেকে দেশের মানুষ কিছুই পায়নি। উপদেষ্টাদের অধিকাংশই এ দেশের নাগরিক নন।” তিনি বলেন, “৯ মাসে যারা সংস্কার করতে পারেনি, তারা ৯ বছরেও পারবে না। সরকারের মাথা থেকে আগা পর্যন্ত পঁচে গেছে।”

তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, “সেন্টমার্টিন, করিডোর, স্টারলিংকের মতো স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে সরকার কী করছে—এটা জনগণ জানে। দেশপ্রেমিক মানুষকে ভয় দেখিয়ে থামানো যাবে না।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, আজকে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ তারুণ্যের সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। আপনার (তারেক রহমান) নেতৃত্বে বাংলাদেশের তরুণরা জেগে উঠেছে। ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার আমাদের দেশকে ধ্বংস করেছিল। দেশের তরুণ ছাত্রসমাজ গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখেছে। জুলাই আগস্টে আমাদের প্রথম বিজয় হয়েছে। আমাদের আন্দোলন কিন্তু থেমে যায়নি। আমরা বিজয়ের দ্বিতীয় পর্যায়ে রয়েছি।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্না। সঞ্চালনায় ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদসহ বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতারা।

এদিকে, সমাবেশ চলাকালীন নয়াপল্টন ও আশপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থান লক্ষ করা গেছে।

১৩৮ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন