ভারতের হামলায় উত্তপ্ত ভারত-পাকিস্তান সীমান্ত, নিন্দা যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘের

বুধবার, ৭ মে, ২০২৫ ৪:০২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ৮ জন নিহত ও ৩৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাব প্রদেশের কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাগ এবং মুজাফফরাবাদে এই হামলা চালানো হয়। ভারত এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন সিঁদুর’।
সামরিক এই অভিযানে পাকিস্তানের বেসামরিক এলাকাগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ। তিনি বলেন, "কাপুরুষেরা নিজেদের আকাশসীমা থেকেই হামলা চালিয়েছে। তারা যদি সাহস করে সীমান্ত পার হয়, তবে আমরা সমুচিত জবাব দেব।"
ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই হামলা ছিল প্রতিরোধমূলক এবং পাকিস্তানের সামরিক স্থাপনায় আঘাত হানা হয়নি। তবে পাকিস্তান এই হামলাকে 'নিরীহ বেসামরিকদের ওপর কাপুরুষোচিত আক্রমণ' বলে আখ্যা দিয়েছে।
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলেও তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এ হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “আমরা ওভাল অফিস ছাড়ার সময় এ খবর শুনি। ইতিহাস বলে দেয়, এমন কিছু ঘটতে পারে তা প্রত্যাশিত ছিল, তবে এটা দুঃখজনক।”
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসও এ হামলায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিকের মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, মহাসচিব নিয়ন্ত্রণ রেখা ও আন্তর্জাতিক সীমান্তজুড়ে ভারতীয় সামরিক তৎপরতায় অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। তিনি দুই দেশকেই সর্বোচ্চ সংযম দেখানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
এ হামলার সূত্রপাত ঘটে ২২ এপ্রিল, যখন ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে এক সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হন। এর পর থেকেই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমেই বাড়তে থাকে।
পাকিস্তান ইতোমধ্যে পাল্টা প্রতিশোধমূলক হামলা শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন আইএসপিআরের মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী।
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আশঙ্কা, যদি পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে না আসে, তবে এটি বড় আকারের সামরিক সংঘাতে রূপ নিতে পারে—যা গোটা অঞ্চলের জন্য ভয়াবহ পরিণতি বয়ে আনতে পারে।
১২৬ বার পড়া হয়েছে