কুষ্টিয়া সীমান্তে ১৪ ভারতীয় নাগরিক পুশ ইন ব্যর্থ
শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১০:১২ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি জোরদার করা হয়েছে, ঠিক সেই সময়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্ত দিয়ে ১৪ জন ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ ইনের চেষ্টা চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
তবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপে সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ঘটনাটি ঘটে বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দিবাগত গভীর রাতে দৌলতপুর উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের রামকৃষ্ণপুর বিওপি এলাকার সীমান্তে। বিজিবি সদস্যরা সন্দেহজনক গতিবিধি টের পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে সীমান্তে অবস্থান নেয় এবং অনুপ্রবেশ ঠেকিয়ে দেয়।
বিজিবি সূত্র জানায়, পরে বিএসএফের আহ্বানে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে একটি পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে কুষ্টিয়া ব্যাটালিয়নের (৪৭ বিজিবি) মহিষকুন্ডি বিওপির সুবেদার আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিজিবি প্রতিনিধি দল এবং ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের নিউ উদয় কোম্পানির কমান্ডার এসি অনিল কুমারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের বিএসএফ প্রতিনিধি দল অংশ নেন।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৪০ মিনিট থেকে ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত সীমান্তের মেইন পিলার ১৫৪/০৭ এস–সংলগ্ন ভারতের অভ্যন্তরে চাইডোবা মাঠে এই পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে ভারতীয় নাগরিকদের পুশ ইনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয় এবং অবিলম্বে তাদের ফেরত নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
পরে শূন্য লাইনে অবস্থানরত ব্যক্তিদের পরিচয় ও ঠিকানা যাচাই করে জানা যায়, তারা সবাই ভারতের ওডিশা প্রদেশের জগতসিংপুর সদর উপজেলার তারিকুন্ডা এলাকার বাসিন্দা। যাচাই-বাছাই শেষে বিএসএফ ওই ১৪ জনকে ভারতের অভ্যন্তরে ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
পুশ ইনের চেষ্টার শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে ছিলেন নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশুসহ একই পরিবারের একাধিক সদস্য। তালিকায় রয়েছে ৭০ বছর বয়সী শেখ জব্বার, তাঁর স্ত্রী, সন্তান, পুত্রবধূসহ ৯০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধা এবং কয়েকজন শিশু।
এ ঘটনার পর সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। নির্বাচনকালীন স্পর্শকাতর সময়ে এমন ঘটনার পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে—তা নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে নানা আলোচনা চলছে।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রাশেদ কামাল রনি বলেন,
“বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে কোনো ধরনের অবৈধ অনুপ্রবেশ বা পুশ ইন কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। সীমান্ত নিরাপত্তা ও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বিজিবি সর্বদা কঠোর ও সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।”
১০৩ বার পড়া হয়েছে