দৌলতপুরে গ্রাম আদালতে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ
শনিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৫:৩৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদের অধীনে পরিচালিত গ্রাম আদালতে সরকারি নির্ধারিত ফি’র বাইরে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, বিভিন্ন খাতের ব্যয়ের অজুহাতে সাধারণ ও প্রান্তিক জনগণের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে বাড়তি টাকা আদায় করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের হিসাবরক্ষক ও কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ানের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী। অভিযোগের সঙ্গে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের ভিডিও প্রমাণও সংযুক্ত করা হয়েছে, যা ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে এসেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে পরিচালিত গ্রাম আদালতে স্বল্প সময় ও কম খরচে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে। সরকারি বিধি অনুযায়ী গ্রাম আদালতে দেওয়ানি মামলার ফি ২০ টাকা এবং ফৌজদারি মামলার ফি ১০ টাকা নির্ধারিত। কিন্তু বাস্তবে মামলা দায়ের ও শুনানির বিভিন্ন ধাপে মামলার ধরনভেদে ৩০০ টাকা থেকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের আল্লার দরগা বাজার এলাকার এক ফুচকা ও ঝালমুড়ি ব্যবসায়ী জানান, স্বামী-স্ত্রীর কলহ সংক্রান্ত একটি মামলায় মামলা দায়ের থেকে শুরু করে হাজিরা পর্যন্ত তাকে মোট এক হাজার টাকা দিতে হয়েছে। একই ইউনিয়নের আরেক বাসিন্দা মুন্না অভিযোগ করেন, একটি সাধারণ অভিযোগ দায়ের করতেই তার কাছ থেকে ৪০০ টাকা নেওয়া হয়েছে।
এছাড়া নান্টু আলী নামে এক ব্যক্তি অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের অভিযোগ তুলে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগসহ সংশ্লিষ্ট প্রমাণাদি দাখিল করেছেন।
অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত হিসাবরক্ষক কাম কম্পিউটার অপারেটর আবু সুফিয়ান অতিরিক্ত ৩০০ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, তিনি যোগদানের আগ থেকেই এভাবে টাকা নেওয়া হয়ে আসছে। তবে ৪০০ থেকে এক হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা দিতে পারেননি। এ সময় তিনি ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে এমনটি করেছেন বলেও দাবি করেন।
এ বিষয়ে হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব সিদ্দিকুর রহমান বলেন, গ্রাম আদালতের নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে তিনি অবগত নন। লিখিত অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একইভাবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরীও বিষয়টি সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে জানান।
দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিন্দ্য গুহ বলেন, অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
১১৫ বার পড়া হয়েছে