নানা বিতর্কের মধ্যেই আজ রাবির দ্বাদশ সমাবর্তন
বুধবার, ১৭ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:০৩ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দীর্ঘ প্রায় ছয় বছর পর নানা আপত্তি ও বর্জনের ঘোষণা উপেক্ষা করে আজ বুধবার অনুষ্ঠিত হচ্ছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দ্বাদশ সমাবর্তন।
সমাবর্তন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এ সমাবর্তনে অংশ নিচ্ছেন ৬০, ৬১ ও ৬২তম ব্যাচের মোট ৫ হাজার ৯৬৯ জন শিক্ষার্থী। সমাবর্তনের সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অন্তর্বর্তী সরকারের শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। বিশেষ অতিথি হিসেবে থাকবেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ। আর সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এসএমএ ফায়েজ।
সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে আগে অতিথি পরিবর্তন ও রেজিস্ট্রেশনের সময় বাড়ানোর দাবিসহ কয়েকটি দাবি উত্থাপন করেছিলেন সাবেক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ। দাবি মানা না হলে তারা সমাবর্তন বর্জনের ঘোষণাও দেন। তবে সব বিতর্ক ও আপত্তির মধ্যেই নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী আয়োজনটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
গত সপ্তাহের শুরু থেকেই সমাবর্তনের মূল ভেন্যু বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়ামে শুরু হয় সংস্কার কাজ। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো মেরামত করা হয়েছে, গাছে চুনকাম ও বিভিন্ন প্রশাসনিক ভবনে নতুন রঙের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও প্রধান ফটক থেকে স্টেডিয়াম পর্যন্ত সড়কে আঁকা হয়েছে আলপনা। প্রশাসনিক ভবন, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার, সিনেট ভবন ও স্টেডিয়াম এলাকাজুড়ে বসানো হয়েছে রঙিন বাতি। পাশাপাশি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে স্থাপন করা হয়েছে দিকনির্দেশনা বোর্ড, পতাকা, ব্যানার ও ফেস্টুন। প্রধান ফটক, বিনোদপুর ও কাজলা ফটকে নির্মাণ করা হয়েছে নতুন তোরণ।
সমাবর্তনের মূল ভেন্যুতে প্রায় সাত হাজার দর্শক ধারণক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিশাল প্যান্ডেল প্রস্তুত করা হয়েছে। তাপমাত্রা সহনীয় রাখতে বসানো হয়েছে ফ্যান এবং স্থাপন করা হয়েছে বড় এলইডি স্ক্রিন। সাবেক শিক্ষার্থীদের আগমনে পুরো ক্যাম্পাসে এখন উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে।
সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় সকাল সাড়ে ৮টায়। শোভাযাত্রা, স্বাগত বক্তব্য, ডিগ্রি প্রদান, সমাবর্তন বক্তৃতা ও সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে প্রথম পর্ব শেষ হবে। পরে দুপুর আড়াইটায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সমাবর্তনের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান জানান, সমাবর্তন ঘিরে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল টিম ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
১১১ বার পড়া হয়েছে