সর্বশেষ

জাতীয়নির্বাচন সামনে রেখে সব রাজনৈতিক দলের জন্য নিরাপত্তা প্রটোকল দেবে পুলিশ : প্রেস উইং
সাজিদের পরিবারকে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ
হাদি হামলা: ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক, সন্দেহভাজন ফয়সালের সব হিসাব জব্দ
হাদির ওপর হামলাকারীদের ভারতে পালানোর তথ্য নেই: ডিএমপি
সুদানের আবেইতে ড্রোন হামলায় হতাহত বাংলাদেশিদের পরিচয় পাওয়া গেছে
আজ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস, সারাদেশে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা
সারাদেশকুড়িগ্রামে সিগারেট কোম্পানির অফিসে ডাকাতি, নৈশপ্রহরী নিহত
উত্তরের জেলাগুলোতে শীতের তীব্রতা বাড়ছে, চলছে শৈত্যপ্রবাহ
পাবিপ্রবি ও জাপানের ইয়ামানাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
ধামরাইয়ে পিকআপ থেকে ৫২ কেজি গাঁজা উদ্ধার, চারজন আটক
কক্সবাজার সৈকতে চালু হলো অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস পাবলিক টয়লেট
আন্তর্জাতিকযুক্তরাষ্ট্রে বিশ্ববিদ্যালয়ে গোলাগুলি : নিহত ২, আহত ৮
গাজায় বিমান হামলায় হামাসের শীর্ষ কমান্ডারের মৃত্যুর দাবি
খেলা২৪ ঘণ্টায় ৫০ লাখ টিকিট আবেদন, উচ্চমূল্যের মধ্যেও আগ্রহ অব্যাহত
দুর্নীতির অভিযোগে ভারতীয় চার ক্রিকেটারকে সাময়িক নিষিদ্ধ
সারাদেশ

আজ সিরাজগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস

স্বপন মির্জা, সিরাজগঞ্জ
স্বপন মির্জা, সিরাজগঞ্জ

রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৬:২৭ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
আজ ১৪ ডিসেম্বর, সিরাজগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসী লড়াইয়ের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সিরাজগঞ্জ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। শহরে উত্তোলন করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা।

সিরাজগঞ্জ মুক্ত করার লক্ষ্যে ৯ ডিসেম্বর ছড়িয়ে থাকা মুক্তিযোদ্ধারা সংগঠিত হয়ে শপথ গ্রহণ করেন। এর পরদিন ১০ ডিসেম্বর শহর থেকে প্রায় তিন মাইল দূরে শৈলাবাড়ি পাকিস্তানি ক্যাম্পসহ শহরের বিভিন্ন স্থানে একযোগে আক্রমণ শুরু করেন সহস্রাধিক মুক্তিযোদ্ধা। টানা তিন দিনের এই যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা অসীম সাহসিকতার সঙ্গে মরণপণ লড়াই চালান।

মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে ১০ ডিসেম্বর থেকে সিরাজগঞ্জে অবস্থানরত পাকিস্তানি বাহিনীর মনোবল ভেঙে পড়তে থাকে। একই সঙ্গে তাদের সহযোগী তথাকথিত শান্তি কমিটি, রাজাকার ও আলবদর সদস্যরাও নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়ে। ১৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা শহরটিকে তিন দিক থেকে ঘিরে ফেলেন এবং স্থল ও নৌপথের নিয়ন্ত্রণ নেন। কেবল রেলপথটি তখনও পাকিস্তানি বাহিনীর দখলে ছিল।

মুক্তিযুদ্ধকালীন বেসরকারি সাব-সেক্টর কমান্ড পলাশডাঙ্গা যুবশিবিরের চিফ-ইন-কমান্ড (সিএনসি) মরহুম সোহরাব আলী সরকার তার বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানান, সিরাজগঞ্জ মুক্ত করার প্রথম বড় আক্রমণ চালানো হয় ৯ ডিসেম্বর শৈলাবাড়ি ক্যাম্পে। ওই যুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর ভারী অস্ত্রের মুখে মুক্তিযোদ্ধারা সাময়িকভাবে পিছু হটতে বাধ্য হন এবং শহিদ হন সুলতান মাহমুদ।

পরবর্তী সময়ে ১০ ডিসেম্বর বিরতি দিয়ে ১১ ও ১২ ডিসেম্বর দফায় দফায় পাকিস্তানি ক্যাম্পে আক্রমণ চালানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর তিন দিক থেকে চূড়ান্ত আক্রমণ শুরু হলে রাত ৩টা পর্যন্ত তীব্র যুদ্ধ চলে। শেষ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধাদের গেরিলা আক্রমণে টিকতে না পেরে পাকিস্তানি সেনারা ট্রেনে করে ঈশ্বরদীর দিকে পালিয়ে যায়। এই যুদ্ধে ইঞ্জিনিয়ার আহসান হাবিব ও সুলতান মাহমুদসহ পাঁচজন মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন।

পাক বাহিনী পালিয়ে যাওয়ার খবর নিশ্চিত হওয়ার পর মুক্তিযোদ্ধারা বিজয়োল্লাসের মধ্য দিয়ে সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজে ধ্বংসপ্রাপ্ত শহিদ মিনারের পাদদেশে সমবেত হন। সেখানে দেশ গঠনের শপথ গ্রহণ করা হয়। এ সময় প্রয়াত আমীর হোসেন ভুলুকে মুক্তিবাহিনীর আঞ্চলিক অধিনায়ক এবং আমেরিকান প্রবাসী প্রয়াত ইসমাইল হোসেনকে প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

সিরাজগঞ্জ শহর মুক্ত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলার বেলকুচি, কামারখন্দ, রায়গঞ্জ, চৌহালী, উল্লাপাড়া ও শাহজাদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা শত্রুমুক্ত হয়।

শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস ও সিরাজগঞ্জ হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে প্রতিবছরের মতো এবারও দিনটিকে গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছে সিরাজগঞ্জবাসী। এ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

১১৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
সারাদেশ নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন