দৌলতপুর সীমান্তে নির্বাচনী নিরাপত্তা জোরদার, বিজিবি'র কঠোর নজরদারি
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ ৩:২১ অপরাহ্ন
শেয়ার করুন:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সীমান্ত দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশ, অপরাধী পারাপার এবং অস্ত্র ও মাদক চোরাচালান ঠেকাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বিজিবি সূত্র জানায়, গত কয়েক দিন ধরে সীমান্তের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের উদ্যোগে জনসচেতনতামূলক মাইকিং চালানো হচ্ছে। এতে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের আইন মেনে চলার পাশাপাশি নির্ধারিত সময়ের পর ‘জিরো লাইন’ এলাকায় যাতায়াত না করার নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে অপ্রয়োজনে সীমান্তের কাছাকাছি না যাওয়ার জন্য স্থানীয়দের সতর্ক করা হচ্ছে।
নির্বাচনকালীন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দৌলতপুর সীমান্তসংলগ্ন ২১টি বর্ডার আউটপোস্টে (বিওপি) অতিরিক্ত জনবল মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি সীমান্তজুড়ে দিনরাত ২৪ ঘণ্টা টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্ত পরিস্থিতি সংবেদনশীল হয়ে ওঠায় এসব পদক্ষেপকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিজিবি।
দৌলতপুর উপজেলা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জলঙ্গী ও করিমপুর থানার সঙ্গে সীমান্তযুক্ত। বিজিবির তথ্যমতে, এ এলাকায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের মোট দৈর্ঘ্য ৮১ দশমিক ৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে পদ্মা নদীর জলসীমা ১৭ দশমিক ১ কিলোমিটার। স্থলসীমান্তের ৫৮ দশমিক ৮ কিলোমিটার এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া থাকলেও এখনও ২২ দশমিক ৭ কিলোমিটার সীমান্তে কাঁটাতারের ব্যবস্থা নেই।
বিজিবি আরও জানায়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোনো চিহ্নিত অপরাধী যাতে সীমান্ত দিয়ে পালাতে বা অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে, সে বিষয়ে কড়া নজরদারি রাখা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ অস্ত্র, বিস্ফোরক ও মাদক পাচার রোধে তল্লাশি কার্যক্রম বাড়ানো হয়েছে। সম্ভাব্য অবৈধ পুশ-ইন ঠেকাতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সাধারণ মানুষের সহযোগিতায় কাজ করছে বাহিনীটি।
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া বিজিবির ৪৭ ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচালক জাকিরুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনকালীন সময়সহ সব সময় সীমান্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখা বিজিবির প্রধান লক্ষ্য। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই যেন নির্বাচন সম্পন্ন হয়, সে জন্য সীমান্তের প্রতিটি পয়েন্টে বিজিবি সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্কতায় দায়িত্ব পালন করছেন। সন্দেহভাজন কাউকে শনাক্ত করা হলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে সীমান্তবর্তী এলাকার বাসিন্দারা বিজিবির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন এবং দেশের নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছেন।
১৫৮ বার পড়া হয়েছে