দৌলতপুরে হাইব্রিড তুলা চাষে কৃষকদের মুখে হাসি
বৃহস্পতিবার , ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ ৭:২৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সম্প্রতি দৌলতপুরে তুলা চাষের জনপ্রিয়তা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। হাইব্রিড ও উচ্চফলনশীল জাতের তুলা চাষের কারণে ফলন বৃদ্ধি পেয়েছে, আর বাজারদরও কৃষকদের পক্ষে অনুকূলে থাকায় তুলা এখন লাভজনক ফসল হিসেবে ধরা হচ্ছে।
তুলা উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চাষিরা নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও সহায়তা পাচ্ছেন। জেলার দৌলতপুর, মিরপুর ও ভেড়ামারায় এই মৌসুমে মোট ২,৪৫০ হেক্টর জমিতে তুলা চাষের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছিল, যার মধ্যে ২,৪৩৪ হেক্টর জমি ইতোমধ্যেই অর্জিত হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় ২,০৫০ জন চাষিকেও সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
দৌলতপুরে একসময় তামাক চাষের প্রাধান্য থাকলেও এখন তার স্থান নিয়েছে তুলা। স্থানীয় কৃষকরা রুপালি-১, হোয়াইট গোল্ড ১ ও হোয়াইট গোল্ড ২ হাইব্রিড জাতের তুলা চাষ করে বিঘাপ্রতি ১৫-১৭ মণ ফলনের আশা করছেন। ধর্মদহ গ্রামের চাষি মোস্তাক আহমেদ জানান, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে এবছর কয়েকবার বীজ বপন করতে হয়েছে। সার ও কীটনাশকের দামও প্রায় দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ায় প্রতি বিঘায় খরচ হচ্ছে প্রায় ২০ হাজার টাকা।
নাহারুল ইসলাম জানান, তুলা চাষে ৭-৮ মাস সময় লাগে, তবে বিঘাপ্রতি ১৫-১৭ মণ ফলনের আশা করছেন। তিনি বলেন, 'গত বছর প্রতি মণ তুলা ৪ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি। এবার দাম আরও বাড়ানোর আশা করছি।'
কুষ্টিয়া তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা শেখ আল মামুন জানিয়েছেন, দৌলতপুরে তুলা চাষির সংখ্যা জেলায় সবচেয়ে বেশি। হাইব্রিড উচ্চফলনশীল জাতের তুলা চাষে কৃষকরা ন্যায্য দাম পাচ্ছেন, ফলে তুলা আবাদ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, 'তুলা চাষের এই সম্প্রসারণ দৌলতপুরের কৃষি অর্থনীতিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে।'
১২২ বার পড়া হয়েছে