দক্ষিণ এশীয় যুদ্ধবিমান: দুবাইতে তেজসের ছন্দপতন, থান্ডারের সাফল্য, বাংলাদেশের বড় সিদ্ধান্ত
রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫ ৯:১৮ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই দুবাই এয়ার শো ২০২৫ নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ভারতীয় যুদ্ধবিমান ‘তেজস’ বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় স্বদেশি প্রযুক্তি ও আন্তর্জাতিক রপ্তানি-ভাবমূর্তি সংকটে পড়েছে ভারত।
বিপরীতে, পাকিস্তানের জেএফ-১৭ ‘থান্ডার’ সফল প্রদর্শনী ও চুক্তি-অর্জনের মাধ্যমে সামরিক এভিয়েশন বাজারে নতুন আস্থার বার্তা পৌঁছে দিয়েছে। এই দুই দেশের অবস্থান পাল্টে আঞ্চলিক শক্তির ভারসাম্য প্রশ্নে আলোড়ন তুলেছে।
বাংলাদেশও চীন থেকে ২০টি J-10C যুদ্ধবিমান (মূল্য $২.২ বিলিয়ন) কেনার কার্যক্রম চূড়ান্ত করেছে—এই সিদ্ধান্তে দক্ষিণ এশিয়ার আকাশ-শক্তির পালা বদলের ইঙ্গিত স্পষ্ট। জেএফ-১৭ ‘থান্ডার’ এর ব্লক-৩ মডেল ইতিমধ্যে পাকিস্তান বহরে সফলভাবে ব্যবহৃত; AESA রাডার, 4.5 জেনারেশন প্রযুক্তি ও মাল্টিরোল সক্ষমতা—এই সব ফিচার J-10C-তেও রয়েছে। চীনা ‘ভিগরাস ড্রাগন’ আঞ্চলিক যুদ্ধবিমান বাজারে পারফরম্যান্স, আয়ুষ্কাল ও স্মার্ট ফিনান্সিং—সব মিলিয়ে তুলনামূলক সাশ্রয়ী ও আধুনিক সমাধান হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তবে J-10C–এর ইঞ্জিন ও এভিওনিক্সে কিছু দীর্ঘমেয়াদি সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে—এ দাবি তুলেছেন আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা। তারপরও, আধুনিক রাডার, ক্লিন টার্ন পারফরম্যান্স, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের জন্য উপযোগী অস্ত্রবহন ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার সামর্থ্যে এগিয়ে J-10C অন্য ফাইটার প্ল্যাটফর্মের বিকল্প হয়ে উঠছে।
সারসংক্ষেপে, দুবাই এয়ার শো ২০২৫–এ দক্ষিণ এশিয়ার আকাশে প্রতিযোগিতায় সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ—তেজসের কিংকর্তব্যবিমূঢ় সংকট, থান্ডারের দৃপ্ত উত্থান এবং বাংলাদেশের J-10C চুক্তি—আজকের প্রতিরক্ষা-নীতি, সামরিক আধুনিকায়ন ও আঞ্চলিক ভূ-রাজনীতিতে বড় প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
১৫০ বার পড়া হয়েছে