সর্বশেষ

রাজনীতি

কুষ্টিয়া-৪ আসনে মনোনয়ন নিয়ে তীব্র আলোচনা

তৃণমূলের জোর দাবি- ‘ধানের শীষের জয়ের চাবিকাঠি শেখ সাদী’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বৃহস্পতিবার , ২০ নভেম্বর, ২০২৫ ২:৩১ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে বিএনপির ঘোষিত প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকেই বিভিন্ন জেলায় মনোনয়ন নিয়ে ক্ষোভ-বিক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি-আপত্তি আমলে নিয়ে বিএনপি নীতিনির্ধারকরা এখন ব্যস্ত বিরোধপূর্ণ আসনগুলোর সমাধান করতে। এ উপলক্ষে মনোনয়নবঞ্চিতদের ডেকে এনে কথা বলছেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা। এমন বাস্তবতায় বিশেষ নজরে রয়েছে কুষ্টিয়া-৪ (কুমারখালী-খোকসা) আসন।

এ আসনে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন মেহেদী আহমেদ রুমী। দীর্ঘদিন দলীয় রাজনীতি ও স্থানীয় জনসংযোগ থেকে দূরে থাকা এবং বয়সজনিত সীমাবদ্ধতার কারণে তার প্রার্থীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তাদের যুক্তি-একাদশী আন্দোলন থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক বৃহত্তর রাজনীতির কোনো ময়দানেই রুমীর সক্রিয় উপস্থিতি দেখা যায়নি।

এদিকে ভোটার তালিকা বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে- এ আসনে প্রায় ৪০ শতাংশ তরুণ ভোটার। সামাজিক মাধ্যম ও মাঠ রাজনীতিতে সক্রিয় এসব তরুণের সঙ্গে রুমীর যোগাযোগ নেই বললেই চলে বলে মন্তব্য স্থানীয় নেতাদের।

মনোনয়নবঞ্চিত ও কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শেখ সাদীকে প্রার্থী করার দাবিতে তৃণমূলের ১৬ জন শীর্ষ নেতা কেন্দ্রে লিখিত আবেদন পাঠিয়েছে- যা ইতোমধ্যে দলটির হাইকমান্ডের টেবিলে পৌঁছেছে।

রাজনৈতিক অঙ্গন ও সিভিল সোসাইটির সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ সংযোগ, তরুণ প্রজন্মের নিকট গ্রহণযোগ্যতা এবং বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে সরব উপস্থিতির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনে। খোকসা উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আবু হেনা মোস্তাফা সালাম লুলু বলেন- ধানের শীষের জয়ের জন্য শেখ সাদীর কোনো বিকল্প নেই। তিনি যেমন জনপ্রিয়, তেমনি সবচেয়ে বেশি মাঠকর্মী যুক্ত করতে সক্ষম।

তিনি আরও বলেন, ১৭ বছর ধরে হামলা-মামলা-নির্যাতনের মধ্যে থেকেও যে নেতাকর্মী পাশে থেকেছে, তাকে না দিলে জয়ের সমীকরণ দুর্বল হয়ে যাবে। একাধিক সূ‌ত্রের দাবি- সাদীর পক্ষে তৃণমূল প্রায় একমত স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের অনেকেই মনে করেন- মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তন না করলে এ আসনে বিএনপির নির্বাচনী সমীকরণ কঠিন হয়ে উঠবে। কারণ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আওয়ামী লীগ শক্ত প্রতিপক্ষ এবং মাঠে তাদের বিশাল সংগঠন। এমন বাস্তবতায় প্রার্থী পরিবর্তন জরুরি দাবি করে নেতারা যুক্তি দিচ্ছেন- দলের দুঃসময়- শেখ সাদী ছিলেন রাজপথে, তরুণ ভোটারদের কাছে সাদীর গ্রহণযোগ্যতা ও যোগাযোগ শক্তিশালী, স্বাস্থ্যগতভাবে সক্ষম ও প্রচারণায় গতিশীল, জনগণের সঙ্গে দৈনিক যোগাযোগ ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়, স্থানীয় নেতারা বলছেন, ভোটের মাঠে ফলাফল পেতে হলে সক্রিয়, পরিচিত ও জনবন্ধু প্রার্থী দরকার- যা শেখ সাদীর মধ্যেই রয়েছে।

সূত্র জানায়, বিএনপির হাইকমান্ড ইতোমধ্যে এ আসনটি নিয়ে বিশেষ আলোচনা শুরু করেছে। জনপ্রিয়তা যাচাই, স্থানীয় বিশ্লেষণ রিপোর্ট ও গোয়েন্দা তথ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে অচিরেই। প্রয়োজনে একটি নিরপেক্ষ জরিপও পরিচালিত হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া কুষ্টিয়ার নেতারা ঢাকায় গুলশান কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করে তাদের দাবি তুলে ধরেছেন এবং ধানের শীষের পক্ষে পূর্ণ আনুগত্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

শুধু কুষ্টিয়া-৪ নয়- ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, চট্টগ্রাম-১৩, মুন্সীগঞ্জ-২সহ একাধিক আসনে বয়স্ক প্রার্থী পরিবর্তনের আবেদন জমা পড়েছে। তরুণ ভোটারের উপস্থিতি ও পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে সামনে রেখে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার দাবি তুলেছে তৃণমূল বিএনপি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে,  তরুণ প্রজন্ম এবারের নির্বাচনের গেম চেঞ্জার। তাদের মন জয় করতে পারলে জয় সুনিশ্চিত।

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
রাজনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন