সর্বশেষ

জাতীয়

প্রাথমিক শিক্ষকদের দেশজুড়ে কর্মবিরতি, ২ উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

রবিবার, ৯ নভেম্বর, ২০২৫ ৭:৩১ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
দেশজুড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা রোববার থেকে কর্মবিরতি পালন করছেন। দশম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষকদের ওপর শনিবার শাহবাগে ‘পুলিশি হামলার’ প্রতিবাদে এ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।

রোববার সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে স্কুল বন্ধ থাকার খবর পাওয়া গেছে। তবে কোথাও কোথাও স্বাভাবিকভাবে পাঠদানও চলছে।

আন্দোলনরত ‘প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ’ এর নেতারা জানিয়েছেন, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাদের লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে। তারা স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দারের পদত্যাগ দাবি করেছেন।

পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ রোববার সকালে বলেন, আমাদের আটক শিক্ষকরা এখনো শাহবাগ থানায় রয়েছেন। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত শহীদ মিনারেই অবস্থান চলবে। নিরীহ শিক্ষকদের ওপর হামলার দায়ে স্বরাষ্ট্র ও প্রাথমিক উপদেষ্টাকে পদত্যাগ করতে হবে।

 

দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দফা দাবি হলো—
১.  সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন নিশ্চিতকরণ,
২.  চাকরির ১০ ও ১৬ বছরে উচ্চতর গ্রেডের জটিলতা নিরসন,
৩. শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতির নিশ্চয়তা।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার ওমর ব্যাপারীকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিম জানান, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা ক্লাস বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করছি। তবে সব স্কুলে কর্মবিরতি চলছে না; উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।

 

বরিশালের হিজলা উপজেলার পশ্চিম চর বাউশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ঝালকাঠির নলছিটির দক্ষিণ তিমিরকাঠী ও বৈদারপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও কর্মবিরতি পালন করছেন বলে জানা গেছে।

এদিকে প্রাথমিক শিক্ষকদের আরেক অংশ ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’-এর ব্যানারে একাদশ গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবি তুলে সরকারকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছে। এ মোর্চার শিক্ষকরা আপাতত কর্মবিরতিতে যোগ দেননি।

ঢাকার কেরাণীগঞ্জের চারিগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ঐক্য পরিষদের নেতা শাহিনুর আল আমিন বলেন, আমরা হামলার তীব্র নিন্দা জানালেও এখন কর্মবিরতিতে নেই। ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছি। দাবি আদায় না হলে ২৩ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত ধাপে ধাপে কর্মসূচি ও ডিসেম্বর থেকে আমরণ অনশন পালন করব।

শনিবার বিকেলে শহীদ মিনার থেকে ‘কলম বিরতি’ মিছিল নিয়ে শাহবাগে পৌঁছালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। শিক্ষক নেতাদের দাবি, পুলিশের লাঠিচার্জ, টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও জলকামান ব্যবহারে শতাধিক শিক্ষক আহত হন এবং পাঁচজনকে আটক করা হয়।

তবে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আন্দোলনকারীদের একটি দল রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তার স্বার্থে সাউন্ড গ্রেনেড ও জলকামান ব্যবহার করা হয়।

 

পরে শিক্ষকরা শহীদ মিনারে ফিরে এসে দেশজুড়ে কর্মবিরতির ঘোষণা দেন। শনিবার গভীর রাতে তারা মোমবাতি প্রজ্বলন করে পুলিশের হামলার নিন্দা জানান।

১১২ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন