চট্টগ্রাম ইপিজেডে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষ, কাজ বন্ধ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২৫ ৮:৫৭ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (সিইপিজেড) প্যাসিফিক গ্রুপের একটি কারখানায় শ্রমিকদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্যাসিফিক গ্রুপের জিনস ২০০০ লিমিটেড কারখানার সামনে এই ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কেউ গুরুতর আহত না হলেও কিল-ঘুষি ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ঘটনার সূত্রপাত ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে শিল্প পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের একটি মামলাকে কেন্দ্র করে। ওই ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্তে শ্রমিকদের মধ্যে একাংশের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি হয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ হয়রানিমূলকভাবে তদন্ত চালাচ্ছে এবং কিছু নিরীহ শ্রমিকের নাম মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
শ্রমিকদের একটি পক্ষ পুলিশের মামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতিতে যায়, অন্যদিকে আরেক পক্ষ কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এই অবস্থায় কর্মবিরতিতে থাকা শ্রমিকেরা কাজে ফিরতে চাওয়া শ্রমিকদের বাধা দিলে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
কারখানা কর্তৃপক্ষ জানায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসলে প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হবে। পরে সংঘর্ষের জেরে সব শ্রমিক কারখানা ছেড়ে চলে যান এবং বর্তমানে উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন বলেন, "মামলার তদন্তে আমরা সন্দেহভাজনদের বিষয়ে তথ্য নিচ্ছি। প্যাসিফিক গ্রুপের কয়েকজন শ্রমিক এই তালিকায় রয়েছে। তবে কাউকে বিনা কারণে হয়রানি করা হবে না।"
শ্রমিকদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে — পুলিশের ‘মিথ্যা’ মামলা প্রত্যাহার, জোর করে কোনো শ্রমিককে অব্যাহতি না দেওয়া এবং কারখানার চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
এদিকে, ঘটনার আগে গত মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) কারখানা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, শ্রমিকদের হয়রানি করা হবে না এবং একজন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এরপরও উত্তেজনা কমেনি এবং বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে রূপ নেয়।
ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. জামির হোসেন জানান, “এ ঘটনায় কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে এবং কারখানা থেকে সব শ্রমিক বের হয়ে গেছেন।”
সিইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, “মামলার প্রতিবাদে কিছু শ্রমিক ফের কর্মবিরতিতে যান এবং সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। ফলে কারখানায় এখন কাজ বন্ধ রয়েছে।”
১১৭ বার পড়া হয়েছে