ভাইয়ের অপকর্ম ঢাকতে বান্ধবীকে মিথ্যা মামলা

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১১:২৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় এক নারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক।
অভিযোগ উঠেছে, এক বান্ধবীর বাসায় রাত্রীযাপনকালে তার ভাই ঘুমন্ত অবস্থায় ছবি তোলেন ভুক্তভোগী শিক্ষিকার। এ ঘটনায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানালে উল্টো মিথ্যা চুরির মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়, এমন দাবি করেছেন শিক্ষিকা ইফফাত মোকাররমা সানিমুন।
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পাবনা জেলা জজ আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভুক্তভোগীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল মামুন রাসেল। তিনি জানান, তার মক্কেল একজন পেশাদার শিক্ষক এবং সম্মানিত নাগরিক। ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কারণে তিনি মামলার বাদী তানিয়া হকের বাসায় অবস্থান করছিলেন। সেই সময় রাতের বেলায় বাদীর ভাই তার ছবি তোলে, যা নিয়ে ইফফাত মোকাররমা আপত্তি জানান এবং ছবিগুলো মুছে ফেলতে বলেন।
পরদিন তিনি বিষয়টি আইনগতভাবে দেখার কথা জানিয়ে ঢাকায় ফিরে গিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। কিন্তু এরপরই তানিয়া হক তার বিরুদ্ধে ২৬ লাখ টাকার স্বর্ণালঙ্কার চুরির মামলা দায়ের করেন, যা ভুক্তভোগী পক্ষের দাবি অনুযায়ী একটি সাজানো অভিযোগ।
আইনজীবী রাসেল বলেন, "ঘটনার সময়কার ছবি প্রমাণ করে, বাদীর শরীরে উল্লেখিত স্বর্ণালঙ্কার ছিল না। ফলে এই মামলার ভিত্তি প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া তদন্ত ছাড়া মামলা গ্রহণের মাধ্যমে পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।"
এ বিষয়ে ইফফাত মোকাররমা বলেন, “এই মামলা আমার পেশাগত ও ব্যক্তিগত জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। আমি একজন শিক্ষিকা, সমাজে মুখ দেখানো কঠিন হয়ে গেছে। আমার শিশু সন্তানকেও এর প্রভাব সহ্য করতে হচ্ছে। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্ত হোক এবং প্রকৃত সত্য উদঘাটিত হোক।”
ঘটনায় অভিযুক্ত তানিয়া হকের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
তবে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, “মামলা আইনানুগভাবেই নেওয়া হয়েছে। তদন্ত চলছে, আইনজীবীর দাবিগুলো একতরফা।”
এর আগে আদালত ভুক্তভোগী ইফফাত মোকাররমাকে জামিন দেন। বর্তমানে মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে।
১৩০ বার পড়া হয়েছে