বাংলাদেশের লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য নির্বাচন স্থগিত

মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:০১ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশনের ২০২৫-২০২৬ ও ২০২৬-২০২৭ বছরের চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্যদের বিরুদ্ধে নানা ধরণের দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সম্প্রতি আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়।
সিনিয়র সহকারী জজ ১ম আদালত, ঢাকায় দায়ের এই মামলায় অভিযোগ করা হয় যে, বিভিন্ন সময় দায়িত্বে থাকা নেতৃবৃন্দ অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে সংগঠনের গঠনতন্ত্র ও নীতিমালা লঙ্ঘন করেছেন। একারণে আদালত এই মামলার শুনানি না হওয়া পর্যন্ত উভয়পক্ষের নির্বাচন কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন।
এ মামলার বাদী হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন মিসেস ফারহানা নাজ, প্রাক্তন জেলা গভর্নর ও বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশনের লাইফ মেম্বার। মামলায় বলা হয়, চেয়ারম্যান এ. কে. এম. রেজাউল হক (জুনু) ২০১৩ সালে প্রথমবারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তার ক্ষমতার অপব্যবহার শুরু করেন। তিনি নির্বাচনের সময় অসাধু প্রভাব বিস্তার করে গঠনতন্ত্রে ইচ্ছেমতো সংশোধন ও বিলোপ করে দেন এবং সাধারণ সভার সিদ্ধান্ত অমান্য করে নিজের ক্ষমতা দীর্ঘায়িত করেছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, রেজাউল হক (জুনু) তার ক্ষমতার অপব্যবহার করে মনোনয়ন বাতিলের মাধ্যমে বিরোধীদের প্রার্থীতা ঠেকিয়ে দিয়েছেন। বিগত ১২ বছরে তার বিরুদ্ধে কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী দাঁড়াতে পারেননি। এরই ধারাবাহিকতায়, এই বছরও চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলেও তাদেরকে বাতিল করে দেন তিনি।
এছাড়া, তিনি ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ নূরের রহমান পারস্পরিক যোগসাজশে গঠনতন্ত্রের বিধান অমান্য করে বেশ কিছু ব্যক্তিকে লাইফ মেম্বার করে থাকেন, যা প্রশাসনিক দুর্নীতির পরিচয় বহন করে এবং সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ছাড়া, বর্তমান ইলেকশন কমিটির একজন সদস্য হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তিনি অপ্রত্যাশিতভাবে নির্বাচিত হন বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলায় আরও বলা হয়, চেয়ারম্যান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের এসব অনিয়মের কারণে সংগঠনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এ ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাদী।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ লায়ন্স ফাউন্ডেশনের ২০২৫-২০২৬ ও ২০২৬-২০২৭ বছরের চেয়ারম্যান ও বোর্ড সদস্য নির্বাচন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে এই মামলার কারণে নির্বাচন ও সংগঠনের কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
১৯৯ বার পড়া হয়েছে