শাপলা প্রতীক না দেওয়ার পেছনে ষড়যন্ত্র দেখছেন সারজিস আলম

শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৯:৪৯ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম অভিযোগ করেছেন,
নির্বাচন কমিশন আইনসম্মতভাবে আবেদন করলেও এনসিপিকে শাপলা প্রতীক না দিয়ে রাজনৈতিক চাপের কাছে নত হয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এতে আগাম নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তৈরি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড়ের মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, “আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে যথাযথভাবে আইন মেনে নিবন্ধনের আবেদন করেছি। প্রথমদিকে বলা হয়, শাপলা জাতীয় প্রতীকের অন্তর্ভুক্ত, তাই দেওয়া যাবে না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, শাপলা এককভাবে জাতীয় প্রতীক নয়, বরং জাতীয় প্রতীকের একটি অংশ। অনেক দল ইতিমধ্যে জাতীয় প্রতীক সংশ্লিষ্ট প্রতীক ব্যবহার করছে। তাহলে শাপলা প্রতীক বরাদ্দে সমস্যা কোথায়?”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “কমিশন বলছে তাদের তালিকায় শাপলা নেই। অথচ তালিকা হালনাগাদ করার দায়িত্ব তো নির্বাচন কমিশনেরই। আমরা আগেই আবেদন করেছিলাম, এরপর নতুন করে আবারও দিয়েছি। কিন্তু এখনো তারা কোনো সুনির্দিষ্ট আইনি ব্যাখ্যা দিতে পারছে না, শুধু এড়িয়ে যাচ্ছে। এটা প্রমাণ করে কমিশন কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে।”
সারজিস আলম তরুণদের ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, “আমরা সমমনা তরুণদের প্রতিনিধিত্ব করছি। দেশের মানুষ চায় তরুণরা রাজনীতিতে ঐক্যবদ্ধ হোক। যদি রাজনৈতিক পর্যায়ে ঐক্য তৈরি হয়, তাহলে জনগণের মধ্যেও ঐক্য সৃষ্টি হবে।”
তিনি আরও জানান, গণঅধিকার পরিষদের সঙ্গে একীভূত হওয়ার আলোচনা চলছে এবং এবি পার্টির সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারেও কথাবার্তা এগিয়ে যাচ্ছে। “জনগণের সমর্থন নিয়ে আমরা সংসদে গিয়ে তাদের প্রতিনিধিত্ব করব,”— বলেন তিনি।
আওয়ামী লীগের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়েও সমালোচনা করেন সারজিস আলম। তিনি বলেন, “বিদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দেশে এনে আওয়ামী লীগ মাঝে মাঝে ভাড়া করা লোক দিয়ে মিছিল করছে। এটি তাদের প্রকৃত সাংগঠনিক শক্তি নয়। যদি সত্যিই এত জনসমর্থন থাকত, তাহলে সাধারণ মানুষ যখন রাস্তায় নামছিল—তখন তারা কোথায় ছিল?”
তার দাবি, “টাকা দিয়ে টোকাইদের ভোরে নামিয়ে ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে। কিন্তু দেশের মানুষ জানে আসল রাজনীতি আর সাজানো শোডাউনের পার্থক্য কী। যারা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় এসে গণহত্যা চালিয়েছে, তাদের রাজনীতির অধ্যায় এখন শেষ। আওয়ামী লীগের রাজনীতির চ্যাপ্টার ক্লোজ।”
১১৭ বার পড়া হয়েছে