যমুনায় নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত, শীতকালীন সবজি আবাদ নিয়ে উদ্বেগ

শুক্রবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৭:৪৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এতে জেলার চরাঞ্চলের নিম্নভূমি একে একে প্লাবিত হতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে নিচু জমিতে আবাদ করা শীতকালীন সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে।
এতে সময়ের আগেই বন্যা দেখা দিতে পারে—এমন আশঙ্কায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।
তবে পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার নিচে রয়েছে এবং বড় ধরনের বন্যার আশঙ্কা নেই।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ সংলগ্ন হার্ড পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ১৩ মিটার, যা বিপৎসীমার (১২.৯০ মিটার) ৭৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় পানি বেড়েছে ১৫ সেন্টিমিটার।
অন্যদিকে, জেলার কাজিপুর উপজেলার মেঘাই পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮০ মিটার, যেখানে বিপৎসীমা ১৪ দশমিক ৮০ মিটার। এখানেও ২৪ ঘণ্টায় ১৫ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে।
এছাড়া যমুনার পাশাপাশি জেলার অভ্যন্তরীণ নদনদী—ফুলজোড়, ইছামতি, করতোয়া প্রভৃতির পানিও ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে জানা গেছে।
চরাঞ্চলের কৃষকরা বলছেন, নদীর পানি হঠাৎ বাড়তে শুরু করায় আগাম শীতকালীন সবজি যেমন মুলা, লাউ, শিমসহ বিভিন্ন ফসল পানির নিচে তলিয়ে যাচ্ছে। এই অব্যাহত পানি বৃদ্ধি চলতে থাকলে চাষাবাদে বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
তবে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মোখলেসুর রহমান বলেন, "উজান থেকে পাহাড়ি ঢল ও অতিবৃষ্টির কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। এতে কিছু চরাঞ্চল প্লাবিত হলেও আগামী দু-তিন দিনের মধ্যে পানি স্থিতিশীল হয়ে যাবে বলে আশা করছি। এখন পর্যন্ত বিপৎসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা নেই এবং বন্যার কোনো শঙ্কাও নেই।"
নদীর পানি দ্রুত কমে গেলে অন্তত আংশিকভাবে শীতকালীন সবজি রক্ষা পাবে বলে আশা করছেন কৃষকরা। তবে পানি আরও বাড়তে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ হবে ভয়াবহ—এমন আশঙ্কাও তাদের কণ্ঠে।
১০৮ বার পড়া হয়েছে