তিস্তার পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি, আতঙ্কে নদীপারের মানুষ

বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ৮:৫৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
উজানের পাহাড়ি ঢল ও টানা বৃষ্টিপাতে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ বেড়ে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ছুঁইছুঁই অবস্থায় পৌঁছেছে।
এতে করে নদীর আশপাশের চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে প্লাবনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, বাড়ছে নদীভাঙনের আতঙ্কও।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার পর তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫২.৮০ মিটার, যা বিপৎসীমার মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচে (বিপৎসীমা: ৫২.৮৭ মিটার)। গত ১৫ ঘণ্টায় নদীর পানি ২০ সেন্টিমিটার বেড়েছে।
চরাঞ্চল ও নিম্নভূমি প্লাবিত, পানিবন্দি মানুষ
নদীর পানি কখনো বাড়ছে, কখনো কমছে—এমন অবস্থায় চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি, ফসলি জমি ডুবে যাচ্ছে। অনেক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
বিশেষ করে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন, পাটগ্রামের দহগ্রাম, আদিতমারীর চর গোবর্ধন ও মহিষখোঁচা, এবং সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, রাজপুর ও গোকুন্ডা ইউনিয়নের বেশ কিছু চর ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়েছে।
তিস্তা ব্যারাজের সব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে
তিস্তা ব্যারাজের পানির লেভেল পর্যবেক্ষক নুরুল ইসলাম জানান,
“সকাল থেকেই তিস্তার পানি বাড়ছে। বিপৎসীমার মাত্র ৭ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে পানি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের সব ৪৪টি জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে।”
এ বিষয়ে ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন,
“উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। আমরা এলাকাবাসীকে সতর্ক অবস্থানে থাকার আহ্বান জানিয়েছি।”
কুড়িগ্রামের নদীগুলোতেও পানি বৃদ্ধির ধারা
এদিকে, কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন নদ-নদীতেও পানি বাড়তে শুরু করেছে। জেলার অনেক নিচু এলাকা ও ফসলি জমি প্লাবিত হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। একইভাবে চরাঞ্চলের বাসিন্দারাও বন্যা ও নদীভাঙনের শঙ্কায় দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
১১০ বার পড়া হয়েছে