সর্বশেষ

জাতীয়

কলাবাগানে নকশা বহির্ভূত ভবন নির্মাণের অভিযোগ, রাজউকের কঠোর সতর্কতা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বৃহস্পতিবার , ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৩২ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাজধানীর কলাবাগান এলাকায় অবৈধভাবে ভবন নির্মাণের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। এরই অংশ হিসেবে কলাবাগানের হোল্ডিং নং-৬, লেন-০৩, ঠিকানায় একটি সাততলা ভবনে অনুসন্ধান চালানো হয়। তবে এই ভবন মালিকরা কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। 

এরই প্রেক্ষিতে সাততলা ভবনটির নকশা অনুমোদন ছাড়া নির্মাণের অভিযোগে মো. এ.এইচ.এম বদরুন্নদোজা খান গং এর বিরুদ্ধে রাজউকের পক্ষ থেকে অথরাইজড অফিসার ৫/২ মো. ইলিয়াস স্বাক্ষরিত নোটিশ জারি করেছেন।

 

জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকের অনুমোদিত নকশা থাকা বাধ্যতামূলক। তবে, মো. এ.এইচ.এম বদরুন্নদোজা খান গং নকশাসহ নথিপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। যা সরাসরি আইন লঙ্ঘন বলে অভিহিত করেছেন রাজউক কর্মকর্তারা। তারা আরও উল্লেখ করেন, অনুমোদিত নকশা ছাড়া ভবন নির্মাণ বা ব্যবহার সম্পূর্ণ বেআইনি এবং জননিরাপত্তার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।

 

রাজউকের একটি সূত্র জানিয়েছে, ভবনটি নির্মাণ বিধিমালা লঙ্ঘন করে নির্মিত হয়েছে। নির্মাণের জন্য অনুমোদিত নকশার একটি কপি এবং অনুমোদনপত্র সাইটে সংরক্ষণ করতে হয়, যা মালিকপক্ষ মো. এ.এইচ.এম বদরুন্নদোজা খান গং করেননি। এ কারণে ভবনটির ভবিষ্যত কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে।

 নোটিশে রাজউক জানিয়েছে,  ২৮ আগস্ট নোটিশ প্রদানের তারিখ থেকে সাত দিনের মধ্যে অনুমোদিত নকশার কপি জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক। তা না হলে, আইন অনুযায়ী, জরিমানা, ভবনের ব্যবহার বন্ধ বা প্রয়োজনে ভেঙে ফেলার মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এলাকাবাসীর আশঙ্কা, এই ধরনের অবৈধ নির্মাণ ভবিষ্যতে নগরীর পরিকল্পনা ও সুশৃঙ্খল নগরায়ণকে বাধাগ্রস্ত করবে।

 

এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিগত সরকারের প্রভাব খাটিয়ে নির্মিত এই ভবনে বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ভবনটিতে ব্যাংক ও স্কুল রয়েছে। তাই রাজউকের দ্রুত ও কঠোর পদক্ষেপ দেখতে চান তারা।

 

রাজউকের আথরাইইড অফিসার ৫/২ মো. ইলিয়াস জানান, কলাবাগানের অভিযুক্ত মো. এ.এইচ.এম বদরুন্নদোজা খান গং এর বিরুদ্ধে লিখিত নোটিশ জারি করা হয়েছে। কিন্তু এখনও তারা সে নোটিশের কোনো জবাব দাখিল করেননি। পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

 

রাজউকের ইন্সপেক্টর ৫/২ এনামুল হক জানান, নির্ধারিত সময় পার হয়েছে। এখন আমরা পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। মো. এ.এইচ.এম বদরুন্নদোজা খান গং এখনও নোটিশের জবাব দেননি। এছাড়া প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও সরবরাহ করেননি। এখন পর্যায়ক্রমে জোড়ালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ভবন ব্যবহার বন্ধ, উচ্ছেদ অভিযান, ভেঙে দেওয়াসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রস্তত রাজউক। তবে এরই মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের অভিযান হলে ভবন ভেঙেও ফেলা হতে পারে।  

১৭৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন