সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

জাতিসংঘে একই দিনে ভাষণ দেয়ার সূচিতে ইউনূস, মোদি ও শেহবাজ

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫ ৮:২৩ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
চলতি বছর জাতিসংঘের ৮০তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের নেতারা একই দিনে ভাষণ দিতে পারেন বলে জানা গেছে।

জাতিসংঘ কর্মকর্তাদের প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর এই তিন দেশের প্রতিনিধিদের বক্তব্য দেয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৮০তম অধিবেশন আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে ৯ সেপ্টেম্বর। তবে উচ্চ পর্যায়ের সাধারণ বিতর্ক চলবে ২৩ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। একই দিনে বক্তব্য রাখবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ এবং বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের নেতা, যিনি হতে পারেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সোমবার (২৫ আগস্ট) পাকিস্তানি দৈনিক দ্য ডন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাতিসংঘ অধিবেশনে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। তার সঙ্গে উপ-প্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার এবং প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা তারিক ফাতেমি উপস্থিত থাকবেন।

জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, সাধারণ বিতর্কে প্রথম ভাষণ দেন ব্রাজিলের প্রতিনিধি, এরপর বক্তব্য রাখেন স্বাগতিক দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। ধারণা করা হচ্ছে, দ্বিতীয় মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এবার তার প্রথম ভাষণ দেবেন।

৮০তম সাধারণ অধিবেশনের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—"একসাথে ভালো: শান্তি, উন্নয়ন এবং মানবাধিকারের পথে ৮০ বছর এবং তার পরেও"।

২৬ সেপ্টেম্বর শুধু ভাষণ নয়, আন্তর্জাতিক পারমাণবিক অস্ত্র সম্পূর্ণ বিলুপ্তির আহ্বানে একটি উচ্চ পর্যায়ের সভাও অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ২৪ সেপ্টেম্বর জলবায়ু বিষয়ক একটি বিশেষ অধিবেশন আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে।

নয়াদিল্লি সূত্রে জানা গেছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবার নিজেই সাধারণ বিতর্কে অংশ নেবেন। অপরদিকে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে কাশ্মীর ইস্যু ও আঞ্চলিক নিরাপত্তা অগ্রাধিকার পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, মোদি ও শেহবাজের একই দিনে ভাষণ তাদের পারস্পরিক অবস্থান ও মতপার্থক্যকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আরও স্পষ্টভাবে তুলে ধরবে। ভারত যেখানে সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে গুরুত্ব দেবে, সেখানে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুকে সামনে এনে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে।

বিশ্লেষকদের মতে, চলমান গাজা-ইসরাইল যুদ্ধ, ইউক্রেন সংকট এবং সাম্প্রতিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে এবারের অধিবেশন হতে যাচ্ছে সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম ব্যস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক আসর।

১২৪ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন