সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

মুহূর্তেই যুদ্ধ বন্ধ হবে, যদি ন্যাটো আর ক্রিমিয়ার আশা ছাড়ে : ট্রাম্প

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৫ ৯:৪৮ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি চাইলে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ মুহূর্তেই বন্ধ করা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে এর জন্য ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ফিরে পাওয়ার আশা ও ন্যাটোতে যোগদানের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

রোববার (১৭ আগস্ট) ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, "জেলেনস্কি চাইলে এখনই যুদ্ধ থামাতে পারেন, কিংবা লড়াই চালিয়ে যেতে পারেন।" তিনি আরও উল্লেখ করেন, "ক্রিমিয়া কখনোই ইউক্রেনের হাতে ফিরবে না, আর ন্যাটোতে যোগ দেওয়াও সম্ভব নয়। কিছু জিনিস কখনো বদলায় না।"

আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) হোয়াইট হাউজে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট এবং ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে ট্রাম্পের। তার আগেই জেলেনস্কির ওপর এই ধরনের মন্তব্য করে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করলেন তিনি।

ট্রাম্প আরও বলেন, আলোচনার অংশ হিসেবে ইউক্রেনকে ন্যাটোতে অন্তর্ভুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে না এবং রাশিয়া অধিকৃত ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের সুযোগও থাকবে না।

এর আগে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কায় এক গোপন বৈঠকে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তিন ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেন। গার্ডিয়ানের এক সূত্র জানায়, সেখানে পুতিন যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ দাবি করেন।

এ বিষয়ে ট্রাম্প বলেন, “যদি জেলেনস্কি দোনেৎস্ক অঞ্চল ছেড়ে দিতে রাজি হন, তাহলে একটি শান্তিচুক্তি সম্ভব।” তিনি আরও বলেন, “ইউক্রেনের উচিত রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি চুক্তিতে পৌঁছানো। কারণ রাশিয়া একটি বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়।”

ইতোমধ্যে জেলেনস্কি বৈঠকে অংশ নিতে ওয়াশিংটনে পৌঁছেছেন। ইউরোপীয় নেতারা বৈঠকে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতা সমর্থনের বিষয়টি পুনরায় তুলে ধরবেন এবং ভূখণ্ড বিনিময়ের যে কোনো পরিকল্পনার বিরোধিতা করবেন বলে জানিয়েছে দ্য গার্ডিয়ান।

এদিকে, রাশিয়াও কিয়েভের নিরাপত্তা নিশ্চয়তা দিতে রাজি হয়েছে বলে দাবি করেছেন আন্তর্জাতিক সংস্থায় নিযুক্ত রুশ প্রতিনিধি মিখাইল উলিয়ানভ। তার মতে, "যেভাবে কিয়েভের নিরাপত্তা দরকার, ঠিক সেভাবেই মস্কোরও নিরাপত্তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।"

ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ জানিয়েছেন, পুতিন ইউক্রেনকে ‘শক্তিশালী নিরাপত্তা নিশ্চয়তা’ দেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছেন। যদিও ইউক্রেন ন্যাটোর পূর্ণ সদস্য হতে না পারলেও, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলো অনুচ্ছেদ–৫–এর মতো একটি নিরাপত্তা কাঠামো প্রস্তাব করতে পারে। উল্লেখ্য, এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ন্যাটোর কোনো সদস্য দেশ আক্রান্ত হলে অন্য সদস্যরা তার পক্ষে প্রতিরোধে এগিয়ে আসে।

ট্রাম্পের মন্তব্য এবং শান্তিচুক্তির শর্ত নিয়ে আলোচনাগুলো ইউরোপীয় নেতাদের মধ্যে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে ট্রাম্প-জেলেনস্কির মধ্যে ঘটে যাওয়া উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন কূটনীতিকরা।

১০৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন