সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ইয়েমেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

রবিবার, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৫৬ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ইয়েমেনের রাজধানী সানার নিকটবর্তী একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি নৌবাহিনী। রবিবার (১৭ আগস্ট) ইসরায়েলি গণমাধ্যম ও কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

হামলায় বিদ্যুৎকেন্দ্রে বড় ধরনের বিস্ফোরণ হলেও এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। হুথি নিয়ন্ত্রিত আল মাসিরাহ টেলিভিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়, হেজইয়াজ বিদ্যুৎকেন্দ্রের জেনারেটর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সেখানে আগুন লাগলেও তা দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে।

ইয়েমেনের উপ-প্রধানমন্ত্রী জানান, জরুরি সেবাদানকারী দল দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ায় বড় ধরনের ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। সানার স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, তারা অন্তত দুটি তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, হুথি যোদ্ধারা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি সামরিক কার্যক্রমের জন্য ব্যবহার করছিল। যদিও এটি বেসামরিক অবকাঠামো হওয়ায়, সেখানে হামলা চালানোর পক্ষে কোনো নির্ভরযোগ্য প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেনি তারা। এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যুদ্ধাপরাধের আশঙ্কা প্রকাশ পাচ্ছে।

ইসরায়েলের তরফ থেকে বলা হয়েছে, হুথি বিদ্রোহীদের ধারাবাহিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় তারা এই পদক্ষেপ নিয়েছে। হুথির এসব হামলার মধ্যে ইসরায়েলের দিকে ছোড়া ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রও অন্তর্ভুক্ত ছিল।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সাল থেকে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান এবং ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সহিংসতার প্রতিবাদে হুথি বিদ্রোহীরা ইসরায়েলের লক্ষ্যবস্তুতে একাধিকবার রকেট ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এর জবাবে ইসরায়েল ইয়েমেনের বিভিন্ন অবকাঠামো, এমনকি মানবিক সহায়তায় ব্যবহৃত হোদেইদা বন্দরে হামলা চালায়।

এদিকে, ইসরায়েল-হুথি উত্তেজনার জেরে লোহিত সাগর হয়ে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যেও বড় ধরনের প্রভাব পড়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে চলতি বছরের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র হুথি গোষ্ঠীর সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছায়। চুক্তি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র হুথি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা বন্ধ করে এবং হুথি গোষ্ঠীও মার্কিন সংশ্লিষ্ট জাহাজে হামলা স্থগিত করে।

তবে হুথির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই সমঝোতা শুধুমাত্র যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রযোজ্য, ইসরায়েলবিরোধী কার্যক্রম এতে অন্তর্ভুক্ত নয়।

চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেছিলেন, "এই চুক্তি যুদ্ধ বন্ধের পথ খুলবে"। তবে চুক্তিটি ইসরায়েলের কাছে অপ্রত্যাশিত ছিল বলেই মনে হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, "ইসরায়েল প্রয়োজনে একাই আত্মরক্ষা করতে প্রস্তুত।"

১২৭ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন