সর্বশেষ

জাতীয়

১৬ বছরে সাড়ে ৪ হাজার মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন: অ্যাটর্নি জেনারেল

রনজক রিজভী, ঢাকা:
রনজক রিজভী, ঢাকা:

শনিবার, ১৬ আগস্ট, ২০২৫ ১২:৪৯ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মোঃ আসাদুজ্জামান বলেছেন, 'গত ১৬ বছরে সাড়ে ৪ হাজারের মত মানুষ বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। ৬০ লাখের মতো মানুষ গায়েবি মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন, যাকে আমরা আইনি পরিভাষায় বলছি পলিটিক্যাল পারসিচুয়েশনের শিকার হয়েছেন।

সাতশ'র মতো মানুষ গুমের শিকার হয়েছেন। অসংখ্য মানুষ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের লাশ, তাদের হারিয়ে যাওয়া, তাদের পঙ্গুত্বের বিনিময়ে আমরা যেই বাংলাদেশ পেয়েছি, সেই বাংলাদেশ আমরা এক কাতারে আনতে চাই। যে কাতারে থাকবে মুক্তিকামী মানুষ, গণতান্ত্রিক মানুষ, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ, মুক্তিযোদ্ধারা, আরেক কাতারে থাকবে ফ্যাসিস্ট খুনিরা।'

শনিবার সকাল ১০টায় আর্কাইভস ভবন মিলনায়তনে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার নবগঠিত উপদেষ্টা পরিষদ ও কার্যনির্বাহী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আসাদুজ্জামান আরো বলেন, 'আবরার ফাহাদের হত্যাকান্ড; ইয়ামিনের লাশ আমাদেরকে এই মুক্তির দিন দিয়ে গেছে। আমরা যারা কুষ্টিয়ার মানুষ মনে করছি, আমরা যারা পদ্মার পাড়ের মানুষ মনে করছি, আমরা কিন্তু আবরার ফাহাদ কিংবা ইয়ামিনের শাহাদাতের প্রতি যথেষ্ট শ্রদ্ধা জানাতে পারিনি। আমার দাবি থাকবে আপনারা যারা বৃহত্তর কুষ্টিয়ার, এই অফিসার্স ফোরামের নেতৃবৃন্দ আছেন আপনারা আজকের এই অভিষেক অনুষ্ঠানের পরে শহীদ আবরার ফাহাদ এবং শহীদ ইয়ামিনের কবর জিয়ারত করবেন। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে কোন লেকচার অথবা আপনাদের পক্ষ থেকে একটি স্করালশিপ চালু করেন, আবরার ফাহাদ এবং ইয়ামিনের নামে। তাহলে তাদের আত্মা শান্তি পাবে। তারা যে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখতেন, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে। কুষ্টিয়াতে তো অনেক বড় বড় ব্যবসায়ী আছেন আমরা জানি। আমি বিশ্বাস করি, এই দুইজনের নামে আপনারা যদি কোনো ব্যক্তি উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি চালু করেন কিংবা বুয়েটে অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য, মেধাবীদের জন্য আপনারা কুষ্টিয়ার ভেতর থেকে অনেক স্পন্সর পাবেন। এবং সেটা হবে আপনার বৃহত্তর কুষ্টিয়ার আগামী প্রজন্মের মানুষের জন্য, দেশ গড়ার জন্য একটি অনবদ্য ভূমিকা। আমরা আরেকটি বিষয় বলি, বাংলাদেশ একটি চোরাবালি সন্ধিক্ষণ সময় থেকে বের হয়ে এসে সোনালী বাংলাদেশের দিক এগিয়ে যাচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'একটি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছে, শেখ হাসিনার বিচারের কি অবস্থা? আমি বললাম, আপনি দেখেন শেখ হাসিনার বিচার, আর আমি দেখি গণহত্যার বিচার। আমার কাছে এখানে মূখ্য হল গণহত্যা, মানবতা বিরোধী অপরাধ। এখানে আসামি হল গৌণ। আমরা যে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করেছি, সে বিচার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের হারিয়ে যাওয়া স্বজনদের রক্তের ঋণ আমরা পরিশোধ করতে না পারলেও আমাদের হারিয়ে যাওয়া ইয়ামিন, আবরার ফাহাদ, আবু সায়ীদ, মুগ্ধসহ অসংখ্য নাম না জানা শহীদের রক্তের কাছে আমরা যে ঋণী হয়ে আছি সেই ঋণের কিছুটা অংশ পরিশোধ করবো। এই প্রত্যয় নিয়েই আমরা আছি। আমাদের কাছে আপনারা যারা আস্থা রেখেছেন যারা বিশ্বাস রেখেছেন নতুন বাংলাদেশ গড়ার আপনার চারিদিক থেকে হতাশার বাণী শুনতে পাচ্ছেন, আপনাদের কিছু আশার বাণী শুনিয়ে বক্তব্য শেষ করবো। আমাদের অর্থনীতি তলানীতে চলে গিয়েছিল। আমাদের অর্থনীতি রিজার্ভ ২০ মিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছিল। বিগত এক বছরের মধ্যে আমাদের অর্থনীতি ৩০ বিলিয়ন ডলারের উপরে চলে গেছে। আমাদের মানবাধিকার পরিস্থিতি এমন ছিল যে এদেশের মানুষ নাগরিক সমাজ সব সময় মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকতো। স্বাভাবিক মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি ছিল না। কখন পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়ে ক্রসফায়ারের নামে হত্যা করছে অথবা গুম করে দিচ্ছে। গায়েবি মামলা দায়ের করে আদালতের বারান্দায় কোনো কোনো পরিবারকে রাত কাটাতে হচ্ছে দিন কাটাতে হচ্ছে। গত এক বছর সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের একটি মানুষও গুমের শিকার হয়নি। এটা আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অন্যতম এক অঙ্গীকার। গত এক বছর সময়ের মধ্যে পুলিশ বাদি হয়ে একটিও গায়েবি মামলা করেনি। যা বাকীগুলো হচ্ছে আপনারাও দেখছেন আমরাও দেখছি কিছু মিথ্যা মামলা হচ্ছে, সেটা হল ভিকটিমের পরিবার গিয়ে করছে যেভাবেই হোক। এই সরকার তার অঙ্গীকারের জায়গা থেকে সেটাকেও প্রতিরোধ করার জন্য। ফৌজদারি কার্যবিধিকে আমরা সংশোধনে এনেছি। ১০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করলে তার ২০ জন অ্যারেস্ট করা হচ্ছে না। যাচাই বাছাই করে অ্যারেস্ট করা হচ্ছে। আমরা একদিকে যেমন প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, খুনীদের বিচার করা, খুনের বিচার করা মানবতা বিরোধী আপরাধের বিচার করা, লুটপাটের বিচার করা, বিদেশের মাটিতে বেগম পাড়া যারা গড়েছেন সেই বেগমপাড়ার বেগমদের সব স্বপ্ন ভঙ্গ করা যেমন অঙ্গীকার একইসাথে দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায় বিচার দেয়া স্বপ্নের বাংলাদেশের একটি অঙ্গীকার। আমরা সেই অঙ্গীকার নিয়ে হেঁটে চলেছি।'

অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, 'আজ একটি বিতর্ক তোলা হচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে যারা জুলাই বিপ্লবে পালিয়ে গেছে তারা বিতর্ক তুলছেন ২৪ না ৭১। আমরা বলছি আজকের বাংলাদেশ ৫৪ বছরের বাংলাদেশ, ৫২ পেরিয়ে ৬২ পেরিয়ে ৬৯ পেরিয়ে ৭১ পেরিয়ে ৯০ পেরিয়ে বিগত ১৬ বছর রক্ত ঝরিয়ে ২৪ এর এই বিপ্লব সফল করেছে। সুতরাং আমরা একটি থেকে অন্যটিতে বিস্তীর্ণ করতে চাই। আমরা ৫২ এর শহীদদের যেমন অশ্রদ্ধা করি না, আমরা ৬৯ এর শহীদ আসাদ, মতিউর তাদের আবদানকে যেমন অসম্মান করি না, ৭১ এর মুক্তি যুদ্ধকে যেমন অসম্মান করি না, আমরা ৮২ থেকে ৯০ পর্যন্ত জাফর, জয়নাল, দিপালি সাহা, কাঞ্চনসহ ডাক্তার বিনোদ বিহারী সাহার রক্তের বিনিময়ে যে বাংলাদেশ পেয়েছিলাম ৯০ সালের গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সে সমস্ত শহীদদের আমরা অসম্মান করি না। আমরা অসম্মান করতে পারি না চৌধুরী আলম এমপি ইলিয়াস আলীসহ অসংখ্য হারিয়ে যাওয়া মানুষকে। আমরা ৩৬ দিনে ১৫শ'র বেশি মানুষকে পাখির মতো গুলি খেয়ে হত্যা হতে দেখেছি। আমরা তাদের রক্তকে বিভাজন করতে পারবো না। পারবোনা বলেই আমরা বলছি আমরা সমস্ত বিতর্কের উর্দ্ধে থেকেই আমরা একপক্ষে রেখেছি খুনিদের, আরেকপক্ষে বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ। আমরা বলছি খুনিদের সাথে মানুষের পার্থক্যের জায়গা। খুনিদের চেহারাও কিন্তু আবিকল মানুষের মতোই ছিল। কি নির্মমতা কি নিষ্ঠুরতা দেখানো হয়েছে। আপনারা দেখবেন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হচ্ছে। সেই বিচারের সাক্ষ্য প্রমাণ যখন আসবে তখন দেখবেন কি নির্মমতা দিয়ে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। পরবর্তী এপিসোডে যখন বিচার হবে তখন দেখবেন একজন কর্মকর্তা র‌্যাবে চাকরি করতো মানুষ খুনের লাইসেন্স নিয়েছিলেন রাজনৈতিক নির্দেশনায়। ওয়ান সিক্সটি ফোরে আসছে রাতের বেলায় ধরে নিয়ে যেয়ে নৌকায় নিয়ে চোখ মুখ বেঁধে গুলি করতেন। এক একদিনে ৫/৭ জন করে গুলি করেছেন। তারপর বালির বস্তা দিয়ে অথবা পাথর দিয়ে লাশ ডুবিয়ে দেওয়া হয়েছে। এবং মানুষের মাথা, ছিটকে পড়া রক্ত যদি ওনার শরীরে না আসতো তাহলে উনি রাতে নাকি ঘুমাতে পারতেন না। এই নির্মম নিষ্ঠুরতা এই দেশের মানুষের ওপর চালানো হয়েছে। আমরা এই সমস্ত অপরাধের বিচারের প্রতিশ্রুতি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। আপনারা আমাদের সাথে থাকবেন। আমরা যেমন একটি বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছি, ঠিক একইভাবে বৈষম্যের শিকার পদ্মাপাড়ের উন্নয়ন ও মুক্তির যে স্বপ্ন আপনারা দেখেছেন, সে স্বপ্নের সারথী আমি আপনাদের সাথে থাকবো।'

এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার নবনির্বাচিত সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন গোলাম মাহাবুব। এছাড়া অতিথিদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এরপর স্বাগত বক্তব্য রাখেন অভিষেক প্রস্তুতি কমিটি ২০২৫ এর আহবায়ক ও অবসরপ্রাপ্ত কর কমিশনার সনজিত কুমার বিশ্বাস। এছাড়া বক্তব্য রখেন বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার মহাসচিব, অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১. পিআরএল) মহ: মনিরুজ্জামান, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার প্রধান উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশেদুল হক, বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার উপদেষ্টা, অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১, পিআরএল) ড. আৰু সালেহ মোস্তফা কামাল, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো: রবিউল ইসলাম এবং শহীদ ইয়ামিনের বাবা মোঃ মহিউদ্দিন।

বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম ঢাকার সভাপতি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম বলেন, 'গত বৃহস্পতিবার সচিব নিবাসের আমি সেক্রেটারি, এখন সেখানে ১০০ মতো সচিব থাকেন। আমরা একটি অনুষ্ঠান করেছিলাম জুলাই বিপ্লবের। সেখানে আমি এই কথাটি বলেছিলাম, ফ্যাসিস্ট নিজে নিজে হয় না। একদিনে হয় না। ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছি আমরা। আমরা ফ্যাসিস্ট তৈরি করেছি। ঠিক সেই একই কথা ওই অনুষ্ঠানে আমি জুলাই যোদ্ধা এবং পরিবারের সদস্যদেরকে নিয়ে এসেছিলাম শহীদ আনাসের মা-বাবা, শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ, শহীদ সৈকতের বোন সেবন্তি এবং জুলাই যোদ্ধা জুনায়েদকে। আমি তাদেরকে নিয়ে এসেছিলাম সেখানে। আমরা যারা এখানে সরকারি কর্মচারি আছি, কর্মকর্তা আছি, এখনও কাজে আছি যারা, ইনসার্ভিস, তাদের জন্য এটি একটি সতর্কবার্তা- ভয়াবহ সতর্কবার্তা। সবার একই কথা ছিল যে ফ্যাসিস্ট তো তৈরি করেছিলেন আপনারা। সামনে ৫০ জন সচিব বসা, যাদের অনেকেই ফ্যাসিস্টের সহযোগিতা করেছিলেন। ওই জেনারেশন বলে গেছেন যে, 'আমরা কিন্তু আপনাদেরকে ছাড়বো না।' এই জেনারেশন তো অন্য রকম। আমি আমার বাবার চোখের দিকে তাকিয়ে তার মৃত্যু পর্যন্ত কথা বলিনি। কিন্তু আমার সন্তানতো আমার চোখে চোখ রেখে কথা বলে। আপনাদের সবারও তাই। এটাকে আমি নাম দিয়েছি, স্যান্ডুইচ জেনারেশন। মানে বাবাও আমাদেরকে যেরকম চাপতেন, সন্তানও চাপছে, আমরা স্যান্ডুউইচ। এই স্যান্ডুউইচড অবস্থায় আমরা আছি। আমার সন্তানেরা কিন্তু আমার জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবে। যারা আমরা সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারি আছি, যারা মানুষের টাকায় বেতন খাই তাদের সার্ভিস দেয়ার দায়িত্ব আমাদের। আমরা যদি আগের মতো চলি তাহলে আমাদেরকে জবাবদিহিতার শিকার হতে হবে। এই কথাটাই আমি সতর্ক করতে চাই। যে আমরা যদি ৫ আগস্টের মতো চলি তাহলে আমরা ইরিলিভেন্ট হয়ে যাবো। আমাদের সন্তানেরা বলবে তোমরা যাও। তোমরা ব্যর্থ হয়েছ। কাজেই আমাদেরকে সেই কথাটি মাথায় রাখতে হবে।'

ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম আরো বলেন, 'আমাদের ছেলেরা মেয়েরা যেই জন্য জীবন দিয়েছে, বৈষম্যহীন দুর্নীতি, ইনসাফ ভিত্তিক একটা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য। এই কথাটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে। আমি শুধু আমার কিছু পরিকল্পনা বলে আমি শেষ করতে চাই। আমি অফিসারদের জন্য প্রথম দিন যখন এজিএম-এ দেয়া হয়েছিল তখন বলেছিলাম, আমরা সবার জন্য কাজ করবো। দুইটা বিষয়কে আমরা ওভারকাম করতে পারছি না। একটা হল যাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা আছে অথবা ছিল কিন্তু সেটার মেয়াদ শেষ হয়নি, শাস্তি দেয়া আরেকটি হল যে দুর্নীতির পারসেপশন। এই দুইটা নিয়ে আমরা খুব ফাইট করছি কিন্তু পারছি না। আদার ওয়াইজ আমরা সবার জন্যই পোস্টিং প্রমোশন করবো। আগের যে অ্যাসোসিয়েশন ছিল তারা যেই প্রমোশনটাকে অফিসারদের কল্যাণে তালিকাভুক্ত করতেন, এজেন্ডাভুক্ত করতেন। তাহলে হয়তো আজকে আমাদের অনেকেই এই অবস্থায় থাকতাম না। কিন্তু আমি ঘোষণা দিচ্ছি আজকে আবার যে, অফিসারদের প্রমোশন এটাও আমাদের এজেন্ডাভুক্ত, কল্যাণের এজেন্ডাভুক্ত।'

তিনি আরো বলেন, 'দু:খজনক হল যে আমরা এমন একটি স্পেশাল সময়ে এসেছি, আমি মাত্র পরশু দিন রিটায়ার্ড করেছি, কিন্তু উচিৎ ছিল যে আমি যেহেতু সিনিয়র ছিলাম তালিকায়, আমার নাম সিনিয়র সেক্রেটারির এক নম্বরে ছিল, যখন ১৩ আগস্ট প্রথম প্রমোশন হল তখন আমার নাম এক নম্বরে ছিলো, এই সরকারের সিভিল সার্ভিসে কিন্তু আমরা একটি অদ্ভুত সময়ে আছি। এখন ১০/১২ বছর আগে যারা রিটায়ার্ড করে গেছেন তারা পলিসি মেক করছেন। তাদের কাছে গিয়ে চাইতে হয়। সো আমাদের সব চাওয়াই পূরণ হয় না। এই বাস্তবতা মানতে হবে। আবারও বলছি এখানে যারা অফিসার আছেন। তাদের জন্য ভাল পোস্টিংয়ের জন্য আমি চেষ্টা করছি। ওয়েট করছি দেখা যাক কি হয়।'

ড. খ. ম কবিরুল ইসলাম বলেন, 'কিছু প্ল্যানের কথা বলছি। আমরা সদস্য সংগ্রহ আভিযান করবো। আমি অলরেডি প্রশাসন ক্যাডার বা পুলে যারা আছে তাদের তালিকা সংগ্রহ করেছি। একদম টপ টু বটম। তাদের মধ্যে যারা সদস্য নয় তাদেরকে আমরা সদস্য করবো। অন্যান্যরাও যাদের এই সুযোগ আছে তারা যদি তালিকাটা বের করতে পারেন, তাহলে সেটা নিয়ে আমাদের কাছে দেন। আমরা তাদেরকে সদস্য করবো। আমি জানিনা আগে ছিল কি না, আমরা একটা আড্ডা চালু করবো আমাদের কুষ্টিয়া ভবনে। আমি মাঝে মাঝেই হয়তো বিকেলে বা সন্ধ্যায় যেতে চাই। এই আড্ডা থেকেই কিন্তু পৃথিবীর বহু বড় বড় পরিকল্পনা তৈরি হয়েছে। এটা আমরা ফিল করছি না, কিন্তু এটা তো নেশার আড্ডার জন্য নয়। এটা গঠনমূলক আড্ডা দিতে চাই। আমরা একটা বার্ষিক বনভোজন করবো এবারের যে সিজন আসছে সেখানে। এবং জাতীয় নির্বাচনের তারিখ দেখে ঠিক করবো। এবং চমক যেটা, চমক মানে- চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া এই চমক আমরা আরেকটু আপডেট করতে চাই। যে কাজটা সবচেয়ে বেশি করতে চাই, এখনকার অ্যাসোসিয়েশন করতে চায় সেটা হল, আমরা একটা আস্থার পরিবেশ তৈরি করতে চাই যেন সবাই মনে করেন যে এই প্রতিষ্ঠানটা আমার। এই আস্থার পরিবেশটা আমি তৈরি করতে চাই। আমি এখন শুধু একটা প্রশ্ন করতে চাই। শহীদ ইয়ামিনের এবং শহীদ আবরারের কবর জিয়ারতের কথা বলেছেন আমাদের আজকের প্রধান অতিথি। এখানে যারা উপস্থিত আছেন আমি জানিনা আমরা কতজন সেখানে গেছি, কিন্তু আমি গেছি। কারণ আমি বুঝি যে আবরার ফাহাদ আসলে ফ্যাসিস্টের পতনের বীজ বোপন করেছিল। তারপরে সেটাকে ফুলে ফুলে সুশোভিত করে আমাদের হাতে ফল এনে দিয়েছে শহীদরা। আমি শুধু কুষ্টিয়াতেই নয়, আমি বাংলাদেশের যে জেলাতেই যাই, আবু সাঈদসহ বিভিন্ন শহীদদের কবর জেয়ারত করে আসি। আমি তো প্রত্যক্ষ বেনিফিসিয়ারি। আমার সিনিয়র সহকারি সচিব হিসেবে রিটায়ার্ড যাওয়ার কথা ছিল কালকে থেকে, কিন্তু তাদের উছিলায় আল্লাহ তা'আলা আমাকে সচিব করেছেন। কাজেই যে কথাগুলো উনি বলেছেন, আমরা যাবো, এই অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যাবো। এবং তাদের নামে যে ডিক্রি চালুর কথা সেটা আমরা করবো ইনশাল্লাহ। আমরা ৫৪ বছরে যে কাজ করতে পরিনি, এখন সেই কাজগুলো আমরা করতে পারি।'

তিনি আরো বলেন, '৭১ নাকি ২৪? ৭১ কেন হয়েছিলো আমরা সবাই জানি। এক হলো বৈষম্য, দু্ই হলো গণতন্ত্র। আমরা কি ৫৪ বছরে এই দুটো পেয়েছিলাম? বৈষম্য দূর করতে পেরেছি, নাকি গণতন্ত্র পেয়েছি? পাইনি। তাহলে ৭১ কে অস্বীকার করার তো কোনো উপায়ই নাই। কোনো সুযোগই নাই। তা না হলে তো ২৪ তো আর আসতোই না। কিন্তু যে কারণে আমরা ৭১ ঘটিয়েছিলাম, তা কি আমরা অর্জন করতে পেরেছি? শুধু একটা তথ্য দেই, বৈষম্যের একক হল গিমেক বা জিমেক কোয়ারিফিশিয়ারি ৭৩ এ ছিলো ০.৩৬, সেটা ২০২২ এ হয়েছে ০.৯৪৯৯। মাঝখানের গুলো আমি ড্রপ করে গেলাম। কিভাবে আমরা চরম বৈষম্যের দিকে গেছি। ৯৫ হল এক্সট্রিম বৈষম্য। আর সেখানে আমরা পৌঁছে গেছি কোথায়। আমরা তো বৈষম্য দূর করতে পারি নাই। নাম্বার টু, আজকে যারা ৩৪/৩৫ বছরের যুবক তারা ইলেকশনে ভোট দিতে পারে নাই। ভোট কি জিনিস জানে না। তার মানে গণতন্ত্র আমরা পাইনি। কাজেই ৫৪ বছর পরে আমাদের শপথ নিতে হবে যে আমরা আরেকবার হাতছাড়া করতে চাই না। এই সুযোগ কাজে লাগাতেই হবে। এবং আমরা সেটা সবাই মিলে লাগাবো।'

অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন, বিতর্ক জগতের কিংবদন্তি, ন্যাশনাল ডিবেট ফেডারেশন বাংলাদেশের চেয়ারম্যান এ. কে. এম শোয়েব।

​​বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম, ঢাকা-এর ২০২৫-২০২৬ মেয়াদের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এই কমিটিতে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, এবং প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা স্থান পেয়েছেন।

​কার্যনির্বাহী পরিষদ (২০২৫-২০২৬) এর ​সভাপতি ​ড. খ ম কবিরুল ইসলাম (সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়), ​সহ-সভাপতি ​মো: এমদাদুল হক (অবঃ সচিব), সনজিত কুমার বিশ্বাস (অবঃ কর কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ​মো: শফিকুর রেজা বিশ্বাস (অবঃ অতিরিক্ত সচিব, গ্রেড-১), ​এ কে এম টিপু সুলতান (অতিরিক্ত সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়), ​মোঃ আহসান কবির (অতিরিক্ত সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ), ​মোহাম্মদ নূরুল হুদা ডিউক (অতিঃ ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রভাতি ইন্স্যুরেন্স), ​কৃষিবিদ মো: আইয়ুব হোসেন (সিনিয়র কনসালটেন্ট, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ), ​ড. মো: মনিরুল ইসলাম (পরিচালক, পিআরএল, বারি, গাজীপুর), ​প্রকৌশলী মোহা: আব্দুল্লাহ বিন আজিজ (প্রধান প্রকৌশলী, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, ঢাকা)।

মহাসচিব: মহঃ মনিরুজ্জামান (অতিরিক্ত সচিব, গ্রেড-১, পিআরএল), ​যুগ্ম-মহাসচিব ​মাসুদা খাতুন (যুগ্মসচিব, বিদ্যুৎ বিভাগ), ​অধ্যাপক মো: নূরুজ্জামান মল্লিক (প্রকল্প পরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর), ​ডা: মো: তৌফিকুর রহমান (ফারুক) (অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান, কার্ডিওলজি, মানিকগঞ্জ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল), ​কাজী আতিয়ুর রহমান (যুগ্মসচিব, পরিচালক, গবেষণা, নিপোর্ট, আজিমপুর, ঢাকা), ​মোঃ ফরিদুল ইসলাম (যুগ্মসচিব, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়), ​মো: তৌহিদুজ্জামান (উপপরিচালক, বারপার্ট, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ), ​​অর্থ সম্পাদক: মো: রুহুল আমিন (যুগ্মসচিব, ইআরডি, অর্থ মন্ত্রণালয়), ​যুগ্ম অর্থ সম্পাদক: মো: শামসুল আলম (ভিপি, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি) এবং মোহা: গোলাম মাহবুব (ডিজিএম, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক, ঢাকা), ​সাংগঠনিক সম্পাদক: মোহা: আমিনুর রহমান (পরিচালক, যুগ্মসচিব, স্রেডা, বিদ্যুৎ বিভাগ), ​যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক: মো: আলমগীর হোসেন, বিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি, ডিএমপি), মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (সহকারী প্রকৌশলী, গণপূর্ত অধিদপ্তর), মো. আবু নাসের কচি (কর কর্মকর্তা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন), মো: জাহিদুল ইসলাম (আইন কর্মকর্তা, ঢাকা ওয়াসা), ড. মো: সরোয়ার জাহান (এজিএম, জনতা ব্যাংক পিএলসি) এবং রোকসানা খাতুন (উপসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়), ​মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: রোকসানা তাবাচ্ছুম (অতিরিক্ত কর কমিশনার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), ​যুগ্ম মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: ডা: জেসমিন নাহান রুনি (জুনিয়র কনসালটেন্ট, সার্জারী, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল), ​গণসংযোগ সম্পাদক: মো: আরিফুর রহমান (তথ্য ক্যাডার), ​যুগ্ম গণসংযোগ সম্পাদক: মোঃ গিয়াস উদ্দিন (সহকারী প্রকৌশলী, এলজিইডি, ঢাকা), ​সমাজ কল্যাণ সম্পাদক: মোহা: জাহাঙ্গীর হোসেন (উপসচিব, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়), ​যুগ্ম সমাজ কল্যাণ সম্পাদক: কাজী ফরিদ উদ্দিন (অতিরিক্ত কমিশনার, কাস্টমস, ঢাকা), ​প্রকাশনা সম্পাদক: অধ্যাপক ড. মো: রুহুল কুদ্দুস শিপন (ফার্মাসিউটিক্যালস কেমিস্ট্রি বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), ​যুগ্ম প্রকাশনা সম্পাদক: নাজমুল হুদা (যুগ্মপরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা), ​সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক: মোঃ নায়েব আলী (যুগ্মসচিব, সদস্য অর্থ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড), ​যুগ্ম সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্পাদক: ড. মো: আব্দুল লতিফ (অতিরিক্ত পরিচালক, উপসচিব, বিআইজিএম, ঢাকা), ​বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: প্রকৌশলী আবুল খায়ের মো: আক্কাস আলী (অতিরিক্ত সচিব ও প্রধান বিদ্যুৎ পরিদর্শক), ​যুগ্ম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক: প্রকৌশলী মুমিতুর রহমান (সদস্য, উপসচিব, গাজীপুর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ), ​স্বাস্থ্য সম্পাদক: ডা: জাহিদ রায়হান (সহযোগী অধ্যাপক, নিউরোসার্জারী বিভাগ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল), ​যুগ্ম স্বাস্থ্য সম্পাদক: ডা: নাসিমুল বারী বাপ্পী (সহ: অধ্যাপক, কার্ডিওলজি, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ), ​ক্রীড়া সম্পাদক: খন্দকার আব্দুর রউফ (ম্যানেজার, অবসরপ্রাপ্ত, তিতাস গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোং), ​যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক: মো: মাহবুবুর রহমান (অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, ডিএমপি, ঢাকা), ​অফিস সম্পাদক: ড. মো: মোফাখখারুল ইসলাম (উপ-পরিচালক, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর), ​যুগ্ম অফিস সম্পাদক মোঃ কামরুল হাসান (সহকারী পরিচালক, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। ​

নির্বাহী সদস্যবৃন্দ যথাক্রমে, ড. মহঃ শের আলী (অতিরিক্ত সচিব, পিআরএল), ​মো: এনামুল হক (অবঃ অতিরিক্ত সচিব), ​মো: আবু ইউসুফ মিয়া (অতিরিক্ত সচিব, পিআরএল), ​এ কে এম সোহেল (অতিরিক্ত সচিব, ইআরডি, অর্থ মন্ত্রণালয়), ​মো: রেজাউল করিম, পিপিএম-সেবা (পুলিশ কমিশনার, অতিরিক্ত আইজিপি, সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ), ​মো: শহিদুল ইসলাম এনডিসি (বিভাগীয় কমিশনার, অতিরিক্ত সচিব, রংপুর বিভাগ), ​মো: ফজলুল হক (অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব), ​মহা: এনামূল হক (অতিরিক্ত সচিব, পরিকল্পনা কমিশন), ​খন্দকার জহিরুল ইসলাম (মহাপরিচালক, অতিরিক্ত সচিব, আরকাইভস ও গ্রন্থাগার অধিদপ্তর), ​মোহাঃ আলমগীর হোসেন (যুগ্মসচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়) ​মো: মমিনুল ইসলাম (পরিচালক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস), ​সুকুমার সেনগুপ্ত (অবসরপ্রাপ্ত কর কমিশনার), ​মোঃ খালেদুজ্জামান জুয়েল (ডিএমডি, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক), ​রুবানা পারভীন (ডিএমডি, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি), ​মোহা: আবুল হোসেন (পরিচালক, চট্টগ্রাম বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন), ​মো: সিরাজুল ইসলাম (নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংক), ​মোঃ তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী (সদস্য, যুগ্মসচিব, বিসিএসআইআর), ​মোহা: মনিরুজ্জামান, পিপিএম (অতি: ডিআইজি, এন্টি টেররিজম ইউনিট), ​মো: আব্দুস সামাদ (যুগ্মসচিব, ডিসি, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা), ​মো: মাহফুজুল ইসলাম (পুলিশ সুপার, এপিবিএন, ডিএমপি, ঢাকা), মো: আলমগীর কবির (উপসচিব, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়), ​আব্দুর রাজ্জাক (চেয়ারম্যান, আরমা গ্রুপ), ​মালিক হাফিজুল আলম (ব্যবস্থাপনা পরিচালক, মালিক গ্রুপ), ​মো: শেখ সাদী (চেয়ারম্যান, এশিউর গ্রুপ), ​মো: আব্দুল মজিদ মিয়া (সাবেক এজিএম, বিডিবিএল), ​মোজাম্মেল হক (এফএভিপি, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি), ​ডা: মোহা: আবু সায়েম (সহকারী অধ্যাপক, জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল), ​প্রকৌশলী মো: রশিদুল আলম (নির্বাহী প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর)।

এছাড়া বৃহত্তর কুষ্টিয়া অফিসার্স কল্যাণ ফোরাম, ঢাকা-এর ২০২৫-২০২৬ সালের জন্য উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভিজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে নিয়ে গঠিত। ​প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব ড. খন্দকার রাশেদুল হক। ​এই উপদেষ্টা পরিষদে মোট ৫২ জন সদস্য রয়েছেন। নিম্নে তাঁদের পদবী ও নাম উল্লেখ করা হলো: অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার: প্রকৌশলী মো: আনোয়ার হোসেন। ​অবসরপ্রাপ্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার: কাজী আখতার হোসেন, মো: নূরুল আলম মিয়া, এনডিসি, ড. শেলীনা আফরোজ, মুহা: আলকামা সিদ্দিকী, ম.আ. কাশেম মাসুদ, মো: মকবুল হোসেন এবং মো: সায়েদুল ইসলাম। অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার: মো: ইসমাইল হোসেন, সৈয়দ আলী নাসিম খলিলুজ্জামান, শেখ আব্দুল আহাদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আকতার-উজ-জামান এবং এ কে এম মাহবুবুর রহমান জোয়াদ্দার। ​অতিরিক্ত সচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার: মো: আব্দুর রাজ্জাক এবং ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল (গ্রেড-১, পিআরএল)। ​অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার: মো: রফিকুল আলম, মো: রাশেদুল হাসান এবং ড. মো: আব্দুস সালাম। ​অবসরপ্রাপ্ত উপসচিব, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার: ড. শাহ্ আলম চুননু এবং মো: আক্তারুজ্জামান (মোহন)। ​অবসরপ্রাপ্ত এআইজিপি: মীর শহিদুল ইসলাম। ​ডিআইজি: মহা: আশরাফুজ্জামান, বিপিএম, ডিআইজি, রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টার এবং মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান, পিপিএম (বার), অতিরিক্ত ডিআইজি, ঢাকা। ​ব্রিগেডিয়ার জেনারেল: ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো: আনিছুর রহমান, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ​অবসরপ্রাপ্ত ডিএমডি: মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, অবসরপ্রাপ্ত ডিএমডি, রূপালী ব্যাংক পিএলসি এবং এম এ সালাম, অবসরপ্রাপ্ত ডিএমডি, যমুনা ব্যাংক। ​অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক, খাদ্য অধিদপ্তর: মো: আবদুল্লাহ আল মামুন। ​অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক (অর্থ), নর্থ ওয়েষ্ট পাওয়ার কোম্পানী লিঃ: মো: নুরুজ্জামান মুন্সী। ​এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি, ঢাকা: এন এস এম রেজাউর রহমান। ​অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ: মো: রবিউল ইসলাম। ​ব্যবস্থাপনা পরিচালক: মো: জাকির হোসেন সরকার, সরকার স্টিল লিঃ, মো: এমদাদুল হক, হক হোম এন্ড বিল্ডার্স এবং মো: রবিউল ইসলাম, নির্বাহী পরিচালক, দিশা। ​অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক, নির্বাচন কমিশন: মো: মহসীন আলী। ​পরিচালক, বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটাল লিমিটেড, ঢাকা: অধ্যাপক ডা. এ এন নাসিম উদ্দিন আহম্মেদ। ​অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক, বিএমআরসি: অধ্যাপক ডা. মো: রুহুল আমিন। ​অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর: বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: জিয়ারুল ইসলাম। ​অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক, ডিএই: মো: কুদরত-ই-গনী। ​অবসরপ্রাপ্ত ম্যানেজার, বাংলাদেশ বিমান: মো: ইদ্রিস আলী। ​অবসরপ্রাপ্ত নির্বাহী প্রকৌশলী, এনএইচএ: মো: আব্দুর রশিদ। ​অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী, রাজউক: প্রকৌশলী মো: সালাহউদ্দিন। ​জেনারেল ম্যানেজার, ইয়াংওয়ান, ঢাকা: এ.কে.এম শোয়েব। ​অবসরপ্রাপ্ত ভিপি, এবি ব্যাংক পিএলসি: এ.কে.এম আব্দুল আউয়াল। ​অবসরপ্রাপ্ত পরিচালক, আরইবি: মো: মনোয়ার হোসেন। ​অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক: অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ডা: মাহবুব হোসেন মেহেদী। ​অবসরপ্রাপ্ত চক্ষু বিশেষজ্ঞ: ডা: মঈন উদ্দিন আহম্মেদ। ​অধ্যাপক ড.: খন্দকার শরিফুল ইসলাম, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ এবং মো: রফিকুল ইসলাম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা। ​অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান (ইএনটি): ডা: মেজর (অব.) মো: আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা। ​কার্ডিওলজি বিভাগ: অধ্যাপক ডা: তৌহিদুল হক, বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা এবং ​অবসরপ্রাপ্ত জিএম, বিসিআইসি, মতিঝিল, ঢাকা: ড. মো: মহিউদ্দিন।

২৯৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন