পাকিস্তানে আকস্মিক বন্যায় নিহত ২শ’র বেশি, ক্ষতিগ্রস্ত বুনের জেলা

বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া মেঘভাঙা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বুনের, বাজাউর এবং বাটগ্রাম জেলা।

স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, শুধু বুনের জেলাতেই ভূমিধসে চাপা পড়ে এখন পর্যন্ত ১৫৭টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্যে গাডেজি তহশিলেই মারা গেছেন অন্তত ১২০ জন। চাঘারজাই তহশিলে একটি ভবন ধসে পড়ে এক পরিবারের ২২ জন সদস্য নিহত হয়েছেন।

খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রাদেশিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (PDMA) জানিয়েছে, প্রদেশজুড়ে সাতটি বাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়েছে এবং আরও ৩৮টি বাড়ি আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোয়াত জেলা ও আশপাশের এলাকায় একাধিক স্কুলের অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে অনেক এলাকায়।

বিপর্যস্ত এলাকাগুলোতে উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে গিয়ে একটি হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় পড়ে। এতে দুজন পাইলটসহ পাঁচজন নিহত হন বলে জানিয়েছে খাইবার পাখতুনখোয়া দুর্যোগ মোকাবিলা সংস্থা।

অন্যদিকে পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরেও বন্যা ও ভূমিধ্বসে অন্তত ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নীলম ও ঝিলম উপত্যকায় প্রায় ৫০০ পর্যটক আটকা পড়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন এবং দুর্যোগ কবলিত অঞ্চলে জরুরি সেবা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খাইবার পাখতুনখোয়াকে ‘বিপর্যস্ত এলাকা’ ঘোষণা করা হতে পারে।

বুনের জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাশিফ কাইয়ুম। তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত ৩০০ স্কুলছাত্রসহ মোট ২ হাজার ৭১ জন মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হয়েছে। দুর্গম এলাকায় উদ্ধার অভিযান পরিচালনায় হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হচ্ছে।

প্রাদেশিক প্রশাসনের এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, নিহতদের স্মরণে পুরো প্রদেশজুড়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হবে।