সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

আজ থেকে কার্যকর ট্রাম্পের শুল্ক নীতি: বাড়তি চাপ দক্ষিণ এশিয়ায়

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

বৃহস্পতিবার , ৭ আগস্ট, ২০২৫ ৮:০৪ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বে বিশ্ববাণিজ্যে নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে কার্যকর হওয়া নতুন শুল্ক নীতির ফলে বিশ্বের অনেক দেশ ও খাতকে পড়তে হয়েছে তীব্র বাণিজ্যচাপে।

ট্রাম্প টুইটে লিখেছেন, “এখন মধ্যরাত! বিলিয়ন বিলিয়ন ডলারের শুল্ক আমেরিকায় ঢুকছে!”


বাংলাদেশের জন্য কিছুটা স্বস্তি
সর্বশেষ আলোচনার পর যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে। এতে কিছুটা স্বস্তি পেলেও বাণিজ্য ঘাটতির প্রভাব পুরোপুরি কাটেনি।

ভারতের ওপর কড়া বার্তা, ৫০% শুল্ক
ভারতের ওপর আরোপিত শুল্ক দ্বিগুণেরও বেশি বাড়িয়ে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, রাশিয়া থেকে জ্বালানি আমদানি বন্ধ না করায় এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ভারত এ সিদ্ধান্তকে “অন্যায়, অযৌক্তিক ও ভিত্তিহীন” বলে নিন্দা জানিয়েছে। এই শুল্ক কার্যকর হবে ২৭ আগস্ট থেকে।

টেক জায়ান্টদের ওপর নজরদারি, শুল্কে ছাড় বিনিয়োগের শর্তে
ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, বিদেশে তৈরি কম্পিউটার চিপের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক বসানো হবে যদি প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ না করে। এরইমধ্যে অ্যাপল ঘোষণা দিয়েছে, তারা আমেরিকায় ১০০ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ করবে। দক্ষিণ কোরিয়ার স্যামসাং, এসকে হাইনিক্স এবং তাইওয়ানের টিএসএমসি শুল্কের বাইরে থাকবে, কারণ তারা যুক্তরাষ্ট্রে বড় বিনিয়োগ করেছে।

চুক্তির দৌড়ে যুক্তরাজ্য, জাপান ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন
কিছু বড় অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আগেই চুক্তি করে তুলনামূলকভাবে কম শুল্কে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাজ্য, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া শুল্ক কমাতে সক্ষম হয়েছে, এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সম্মত হয়েছে ১৫ শতাংশ শুল্কে।

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বড় ধাক্কা, ক্ষতিগ্রস্ত লাওস ও মিয়ানমার
ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ছোট অর্থনীতিগুলোর ওপর। লাওস ও মিয়ানমারের ওপর আরোপ করা হয়েছে ৪০ শতাংশ শুল্ক। বিশেষজ্ঞদের মতে, যেসব দেশের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক রয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন সেসব দেশকে টার্গেট করছে।

কানাডা, মেক্সিকো ও ব্রাজিলের অবস্থান
কানাডার ওপর শুল্ক বাড়িয়ে ৩৫ শতাংশ করা হলেও, আগের চুক্তির কারণে বেশিরভাগ পণ্য শুল্কের বাইরে থাকবে। মেক্সিকোর জন্য ৯০ দিনের জন্য শুল্ক স্থগিত রাখা হয়েছে।
অন্যদিকে, ব্রাজিলের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক বসানো হয়েছে। ট্রাম্প অভিযোগ করেছেন, ব্রাজিলের সরকার মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে।

চীন-যুক্তরাষ্ট্র আলোচনায় বসছে
চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একসঙ্গে বসে আলোচনা শুরু করেছে যাতে ১২ আগস্ট শেষ হতে যাওয়া ৯০ দিনের শুল্ক বিরতির সময়সীমা বাড়ানো যায়। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসেনি।

১১৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ সব খবর
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন