ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআইর দেশজুড়ে বিক্ষোভ

বুধবার, ৬ আগস্ট, ২০২৫ ৬:২৪ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের কারাবন্দির দুই বছর পূর্ণ হওয়ায়, দলটি মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দিনটিকে ‘আইয়ামে সিয়াহ’ বা ‘কালো দিবস’ হিসেবে পালন করেছে।
এ উপলক্ষে ‘ইমরানকে মুক্ত করো’ স্লোগান নিয়ে দেশব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করেছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। যদিও ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডিতে ১৪৪ ধারা জারি করে সব ধরনের গণজমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তবুও দলটির নেতারা কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
পিটিআইর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিক্ষোভের পরিকল্পনা চূড়ান্ত এবং দলীয় সাংসদ ও সিনেটররা আদিয়ালা জেলগেটে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। এই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ইমরান খানের বোন আলিমা খান এবং পিটিআইর সেক্রেটারি জেনারেল সালমান আকরাম রাজা। একইসঙ্গে পাঞ্জাব, সিন্ধ, বেলুচিস্তান, খাইবার পাখতুনখোয়া এবং আজাদ কাশ্মীরেও দলের নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে অংশ নিচ্ছেন।
গ্রেপ্তার ও দমন-পীড়ন
জিও নিউজ জানিয়েছে, বিভিন্ন শহরে ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পিটিআই সমর্থকরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করছে। তবে আন্দোলন চলাকালে লাহোরে অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। দলীয় দাবি অনুযায়ী, গ্রেপ্তারের সংখ্যা ৩০০-এর বেশি এবং বিভিন্ন নেতার বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে।
ডন পত্রিকার বরাতে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পিটিআই পাঞ্জাব শাখা অভিযোগ করেছে, বয়স্ক কর্মী-সমর্থকদের ভয় দেখানো হচ্ছে এবং একজন নেত্রী রেহানা ইমতিয়াজ দারকে আদালত চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আন্দোলন অব্যাহত থাকবে: পিটিআই
পিটিআই নেতা আসাদ কায়সার জানান, ৫ আগস্টের কর্মসূচি কেবল শুরু, এটি ‘চূড়ান্ত ডাক’ নয়। তিনি বলেন, “যতদিন না পর্যন্ত ‘ভুয়া সরকার’ অপসারিত হচ্ছে, আন্দোলন চলবে। জনগণের অধিকার হচ্ছে, তারা যেন প্রকৃত জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচিত করতে পারেন।”
পুলিশি অভিযান ও দলীয় প্রতিক্রিয়া
পিটিআই পাঞ্জাব মিডিয়া সেলের প্রধান শায়ান বশির এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, পুলিশ প্রায় ২০০টি অভিযান চালিয়ে বহু দলীয় কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। পরে তাদের হলফনামা নেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে পিটিআই সিনেটর আলী জাফর বলেন, যদিও ইমরান খান সংলাপের দরজা বন্ধ করেছিলেন, রাজনীতিতে সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ সবসময়ই থাকে।
সরকারের প্রতিক্রিয়া
সরকারি কর্মকর্তারা এ কর্মসূচিকে ‘অরাজকতা সৃষ্টির ষড়যন্ত্র’ বলে অভিহিত করেছেন এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। তবে পিটিআই তাদের আন্দোলন শান্তিপূর্ণ রাখার কথা বলছে।
১০৯ বার পড়া হয়েছে