সর্বশেষ

জাতীয়প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে ভয়াবহ হামলা, অগ্নিসংযোগ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর নেই
জাতির উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ, শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই স্থিতিশীল: ডা. জাহিদ
জুলাইয়ের হত্যা মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
জিগাতলায় হোস্টেল থেকে এনসিপি'র জান্নাতের মরদেহ উদ্ধার
গুম-নির্যাতনের অভিযোগে ১৩ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠনের আদেশ আজ
হাদি হত্যাচেষ্টা: ফয়সালের পালাতে ব্যবহৃত গাড়ি ভাড়ার পেছনের তথ্য ফাঁস
সারাদেশসারাদেশে জোরদার ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট ফেজ–২’
ভেড়ামারা গ্রিড উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শুক্রবার বিদ্যুৎ বন্ধ থাকবে
নেত্রকোনা সীমান্ত এলাকায় বিদেশি মদ উদ্ধার
চিলমারীতে ট্রাক্টরের চাকায় পিষ্ট হয়ে বৃদ্ধের মৃত্যু
সিরাজগঞ্জে এনসিপির জেলা কমিটি ঘোষণা, নেতৃত্বে সাবেক বিএনপি নেতারা
সিরাজগঞ্জে বিএনপির তিন নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার
এনায়েতপুরে জামিয়াতুল হাসানাইন'র দুই দিনব্যাপী মহাসমাবেশ শুরু আজ
আন্তর্জাতিকগাজা যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ৬১ ইসরায়েলি সেনার আত্মহত্যা
খেলাএমবাপের জোড়া গোলে তালাভেরার বিপক্ষে হাড্ডাহাড্ডি জয়
অর্থনীতি

সোনার প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর

ডেস্ক রিপোর্ট
ডেস্ক রিপোর্ট

শনিবার, ১৯ জুলাই, ২০২৫ ৬:৩৫ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বাড়ায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সোনার মজুতে ঝুঁকছে।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (WGC) ‘সেন্ট্রাল ব্যাংক গোল্ড রিজার্ভ সার্ভে ২০২৫’ অনুসারে, বিশ্বের প্রায় ৪৩ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামীতে আরও সোনা কিনতে চায়।

জরিপে অংশ নেওয়া ৯৫ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের সোনার মজুত যথেষ্ট। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পটপরিবর্তনে বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারকে চাপ প্রয়োগের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের কারণে অনেক দেশ এখন বিকল্প খুঁজছে। এতে করে সোনার চাহিদা বাড়ছে।

ইনভেস্টর ডট কম–এর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের শেষ দিকে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর হাতে থাকা সোনার পরিমাণ দাঁড়ায় সরকারি রিজার্ভের প্রায় ২০ শতাংশ বা প্রায় ৩৬,২০০ টনে। ২০২২ সালে এই হার ছিল প্রায় ১৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ধারণা করছে, ২০২৫ সালের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো আরও ৯০০ টন সোনা সংগ্রহ করবে।

বিশ্লেষকদের মতে, এই প্রবণতার মূল কারণ হচ্ছে ডলারের প্রতি ক্রমহ্রাসমান আস্থা। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রবিরোধী দেশগুলো—যেমন চীন ও রাশিয়া—ডলারের বিকল্প খুঁজতে গিয়ে সোনাকে নিরাপদ মুদ্রা হিসেবে বিবেচনা করছে।

ব্রিকস জোটের (ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা) দেশগুলো একদিকে যেমন ডলারের বিকল্প গঠনে আগ্রহী, তেমনি সোনার বাজারে বড় ক্রেতাও। চীনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক টানা সাত মাস ধরে সোনার রিজার্ভ বাড়িয়ে চলেছে। মে মাসে তাদের মোট রিজার্ভ দাঁড়ায় ৩.২৮৫ ট্রিলিয়ন ডলারে।

এই সময়ে সোনার দাম কম ছিল না—বরং উল্টো বেড়েছে। তা সত্ত্বেও চীনের লাগাতার সোনা কেনা স্পষ্ট করে দেয় যে, বেইজিং কতটা দ্রুত ডলারনির্ভরতা কমাতে চায়। একই ইঙ্গিত মেলে চীনের মার্কিন ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগ হ্রাসের মাধ্যমে—ফেব্রুয়ারিতে চীনের হাতে থাকা মার্কিন বন্ডের পরিমাণ ছিল ৭৮৪ বিলিয়ন ডলার, যা এপ্রিলের শেষে নেমে আসে ৭৫৭ বিলিয়নে। অর্থাৎ মাত্র দুই মাসে কমে গেছে প্রায় ২৭ বিলিয়ন ডলার।

ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল আরও জানিয়েছে, বর্তমানে ৪৭ শতাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিভিন্ন উৎস থেকে সোনা সংগ্রহ করছে। এর মধ্যে ৩৭ শতাংশ বড় খনি থেকে, ১৬ শতাংশ ছোট খনি থেকে এবং বাকি অংশ বাজার থেকে সংগৃহীত।

২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বিশ্ববাজারে সোনার দাম রেকর্ড গড়ে আউন্সপ্রতি ৩,৫০০ ডলারে পৌঁছায়। এই প্রতিবেদন লেখার সময় দাম কিছুটা কমে এসেছে—৩,২৫০ ডলার। তবে বিশ্লেষকদের মতে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো যদি সোনা কেনা অব্যাহত রাখে, তাহলে দাম আবার বাড়তে পারে।

বিশ্বজুড়ে ভূরাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং আর্থিক অস্থিরতা বাড়ার প্রেক্ষাপটে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর মধ্যে সোনার প্রতি নির্ভরতা আরও দৃঢ় হচ্ছে।

৪৩৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
অর্থনীতি নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন