মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

বুধবার, ১৬ জুলাই, ২০২৫ ৫:৫৬ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস আগামী ১১ আগস্ট মালয়েশিয়া সফরে যাচ্ছেন।
এটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সফর, যেখানে অভিবাসন, বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ইস্যুতে উচ্চপর্যায়ের আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে।
ড. ইউনূসের সফরকালে বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক (MOU) সই হওয়ার কথা রয়েছে, যার মধ্যে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রাধিকার পাবে। এই সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কূটনৈতিক সূত্র ও সংশ্লিষ্ট মিশন।
সফরের দ্বিতীয় দিন, ১২ আগস্ট মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস। দুই নেতা অভিবাসন, শ্রমবাজার, নিরাপদ অভিবাসন, বিনিয়োগ, বাণিজ্য ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতার মতো বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবেন। আলোচনার পর স্বাক্ষর হবে কয়েকটি সমঝোতা স্মারক।
উল্লেখ্য, এর আগে গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম ঢাকা সফর করেছিলেন, যা অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে প্রথম রাষ্ট্রীয় সফর ছিল। সে সময়ের আলোচনার ধারাবাহিকতায় এবার কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের পথে এগোচ্ছে দুই দেশ।
বৈঠকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও নির্বাচন প্রসঙ্গ আসবে কি না—জানতে চাইলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, এটি একটি দ্বিপক্ষীয় সফর, ফলে আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়। তবে মালয়েশিয়ার পক্ষ থেকে আগ্রহ থাকলে রাজনৈতিক প্রসঙ্গ উঠতে পারে।
মালয়েশিয়া সফর শেষে ড. ইউনূস ইন্দোনেশিয়ায়ও যেতে পারেন বলে জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত সংশ্লিষ্ট একটি মিশন। তাদের ভাষ্য, সফরের এজেন্ডা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে, তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি।
আরেকটি সূত্র জানায়, ইন্দোনেশিয়ার পক্ষ থেকে আগ্রহ থাকায় ১৩ আগস্ট ড. ইউনূসের ইন্দোনেশিয়া সফর হতে পারে। সম্ভাব্য আলোচ্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে: জ্বালানি (বিশেষ করে কয়লা ও এলএনজি আমদানি), বাণিজ্য, স্বাস্থ্য, আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং রোহিঙ্গা সংকট। শিক্ষা, মৎস্য এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানিসহ বিভিন্ন খাতে একাধিক এমওইউ সইয়ের সম্ভাবনাও রয়েছে।
সূত্র মতে, ইন্দোনেশিয়া বাংলাদেশের সঙ্গে জ্বালানি প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য শক্তি ও দীর্ঘমেয়াদি এলএনজি সরবরাহ নিয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। সম্ভাব্য সফরে এই খাতে যৌথ উদ্যোগ, বিনিয়োগ ও মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (FTA) নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
বাংলাদেশি পণ্যের বাজার প্রসার এবং ইন্দোনেশিয়ার সরাসরি বিনিয়োগ নিশ্চিত করার দিকেও নজর থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
১১৮ বার পড়া হয়েছে