সর্বশেষ

জাতীয়

রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় কাঁচা মরিচ ও সবজির দাম হু-হু করে বেড়েছে

স্টাফ রিপোর্টার
স্টাফ রিপোর্টার

শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫ ৮:১৬ পূর্বাহ্ন

শেয়ার করুন:
রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় টানা বৃষ্টির প্রভাবে শাকসবজি ও মুরগির সরবরাহ কমে গেছে।

এর ফলে বাজারে অনেক পণ্যের দাম লাফিয়ে বেড়েছে। সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে কাঁচা মরিচের।

ঢাকার রামপুরা, বাড্ডা, মহাখালী ও জোয়ারসাহারা কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, বর্তমানে কাঁচা মরিচ খুচরায় প্রতি কেজি ২৬০ থেকে ৩২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগেও এই পণ্যটির দাম ছিল ৮০ থেকে ১২০ টাকা।

সবজির দামের ক্ষেত্রেও দেখা গেছে ঊর্ধ্বগতি। প্রতি কেজি বেগুন মানভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, করলা ৮০ থেকে ১০০ টাকা, কাঁকরোল ও ঝিঙা ৮০ টাকা, টমেটো ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, শসা ৬০ টাকা, পটোল ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। লম্বা লাউ প্রতি পিস ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং চালকুমড়া ৫০ থেকে ৬০ টাকা।

বৃষ্টির প্রভাবে শুধু সবজি নয়, মুরগির দামও বেড়েছে। বর্তমানে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা এবং ব্রয়লার মুরগি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ডিম প্রতি ডজন ১৩০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, তিন দিনের টানা বৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষেতের সবজি নষ্ট হয়ে গেছে। ফলে বাজারে সরবরাহ কমেছে। বাড্ডার এক বিক্রেতা মো. সাইফুল ইসলাম জানান, “পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে হয়েছে ২৪০ টাকা কেজি দরে, তাই খুচরায় দাম আরও বেশি।”

অন্যদিকে, ভোক্তারা অভিযোগ করছেন, এই পরিস্থিতিকে পুঁজি করে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়াচ্ছেন। রামপুরা বাজারের ক্রেতা পারভীন সুলতানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “চার দিন আগে ২৫ টাকায় কিনেছি ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ, এখন দাম চাওয়া হচ্ছে ৭০ টাকা। এমন হারে দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের চলা কঠিন হয়ে যাবে।”

এছাড়া, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ও ডালের দামেও ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫৫–৬০ টাকায়, আদা ১৩০–১৫০ টাকা, দেশি রসুন ১২০–১৫০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ১৯০–২০০ টাকা দরে।

ফরিদপুরেও একই চিত্র
ফরিদপুর শহরসহ আশপাশের বাজারগুলোতেও কাঁচা মরিচের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। জেলা শহরের চকবাজার, কানাইপুর, বোয়ালমারী, মধুখালী, আলফাডাঙ্গা ও ভাঙ্গা বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ২২০ থেকে ২৪০ টাকায়। পাইকারিতে দাম ১৮০ থেকে ২০০ টাকা।

বিক্রেতা ও ক্রেতা উভয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, সরবরাহ ঘাটতির পাশাপাশি পরিবহন খরচ বৃদ্ধি এবং অতি মুনাফার প্রবণতাও মূল্যবৃদ্ধির পেছনে দায়ী।

১০৯ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
জাতীয় নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন