ইয়েমেনের বিদ্যুৎকেন্দ্র ও বন্দরে হামলা চালায় ইসরায়েল

সোমবার, ৭ জুলাই, ২০২৫ ৪:৫০ পূর্বাহ্ন
শেয়ার করুন:
ইসরায়েল জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের তিনটি প্রধান বন্দর ও একটি বিদ্যুৎকেন্দ্রে হুতি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে।
সোমবার ভোরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী এই হামলার কথা প্রকাশ করে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির বিস্তারিত জানা যায়নি। বিগত এক মাসে ইয়েমেনে এটিই ইসরায়েলের প্রথম হামলা।
ইসরায়েলি বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, হোদেইদাহ, হোসেইন, রাস ইসা ও সালিফ বন্দরে হামলা চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে, রাস কান্তিব বিদ্যুৎকেন্দ্রও হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল। হুতিদের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার জবাব হিসেবেই এই পাল্টা আঘাত এসেছে বলে ইসরায়েল জানায়।
২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে আসছে ইসরায়েল। এর প্রতিবাদে ইরান-সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীরা গাজার প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ইসরায়েল এবং পশ্চিমা সমর্থিত বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা শুরু করে। এসব হামলা লোহিত সাগর হয়ে চলাচলকারী আন্তর্জাতিক বাণিজ্যকে ব্যাহত করে।
ইসরায়েলের দাবি, হুতিদের অধিকাংশ আক্রমণ প্রতিহত করা সম্ভব হয়েছে তাদের উন্নত আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে। তবে তারা পাল্টা হামলার কৌশল অব্যাহত রেখেছে।
বিশেষভাবে, ইসরায়েলি বাহিনী রাস ইসা বন্দরে ‘গ্যালাক্সি লিডার’ নামের এক জাহাজে হামলার কথাও জানায়, যেটি ২০২৩ সালের শেষ দিকে হুতিদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। তারা দাবি করে, হুতিরা ঐ জাহাজে একটি রাডার স্থাপন করেছে, যা আন্তর্জাতিক জলসীমায় চলাচলকারী জাহাজ শনাক্তে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং এটি তাদের ‘সন্ত্রাসী কার্যক্রমের’ অংশ।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র পাল্টা বিবৃতিতে বলেন, তারা স্থানীয়ভাবে তৈরি ভূমি-থেকে-আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে ইসরায়েলি হামলা প্রতিরোধে সফল হয়েছে।
হোদেইদাহর বাসিন্দারা রয়টার্সকে জানান, ইসরায়েলি হামলায় শহরের প্রধান বিদ্যুৎকেন্দ্র অচল হয়ে যাওয়ায় পুরো নগরী অন্ধকারে ডুবে যায়। হুতিনিয়ন্ত্রিত আল-মাসিরাহ টিভি জানায়, ইসরায়েল একাধিকবার হোদেইদাহতে হামলা চালিয়েছে। এর আগেই ইসরায়েল সতর্কবার্তা দিয়েছিল, বন্দরগুলো খালি করে ফেলার জন্য।
১২১ বার পড়া হয়েছে