সর্বশেষ

জাতীয়বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর
অস্ত্রোপচারে হাদির মাথায় গুলির অস্তিত্ব মিলেনি : ঢামেক পরিচালক
দেশ সংকটের মধ্যে, ঐক্যের আহ্বান তারেক রহমানের
রাজধানীর বাড্ডায় চলন্ত বাসে আগুন
ঢাকা-১০ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া
আচরণবিধি নিশ্চিতে আজ থেকে মাঠে নামছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা
সারাদেশতানোরে শিশু সাজিদের দাফন সম্পন্ন, জানাজায় মানুষের ঢল
পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ, তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে ৯.৫ ডিগ্রি
আন্তর্জাতিকজাপানে ৬.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, সুনামি সতর্কতা জারি
খেলাটি-টোয়েন্টি : ১৩ বলের ওভার করে সমালোচনায় আর্শদিপ, সিরিজে সমতায় দক্ষিণ আফ্রিকা
শিক্ষা

৩ বছরেও শেষ হয়নি থানচি কলেজের আইসিটি ভবন, শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত আধুনিক শিক্ষায়

মো.আরিফ, বান্দরবান
মো.আরিফ, বান্দরবান

শুক্রবার, ৪ জুলাই, ২০২৫ ২:৫৩ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
পাহাড়ি জেলার বান্দরবানের থানচি সরকারি কলেজে আইসিটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিল তিন বছর আগে।

উদ্দেশ্য ছিল দুর্গম এই এলাকার শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম চালুর ব্যবস্থা করা। তবে সময় গড়ালেও এখনো অর্ধসমাপ্ত ভবন পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। ফলে কার্যকরভাবে আইসিটি শিক্ষাদান সম্ভব হচ্ছে না—বঞ্চিত হচ্ছেন শতাধিক শিক্ষার্থী।

২০২২-২৩ অর্থবছরে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থানচি কলেজে চারতলা ফাউন্ডেশনের একটি একতলা ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় ৮২ লাখ টাকার একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। নির্ধারিত সময়সীমা ছিল দেড় বছর। সরকারি টেন্ডারে কাজ পান বান্দরবানের এক ঠিকাদার। কিন্তু অভিযোগ রয়েছে, তিনি প্রকল্পটি লাভের বিনিময়ে স্থানীয় হ্লামংসিং মারমার কাছে হস্তান্তর করেন।

হ্লামংসিং প্রাথমিকভাবে কিছু খুঁটি ও বিম নির্মাণ করলেও এরপর আর কাজ এগোয়নি। দীর্ঘ সময় ধরে নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকায় রড ও বিম খোলা আকাশের নিচে পড়ে থেকে মরিচায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে—যা ভবনের কাঠামোগত নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

থানচি কলেজের অধ্যক্ষ ধমিনিক ত্রিপুরা বলেন, “ভবন না থাকায় আইসিটি ক্লাসে প্র্যাকটিক্যাল শেখানো যাচ্ছে না। বারবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো অগ্রগতি হয়নি। এতে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।”

একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ডমেথুই মারমা জানান, “আমরা শুধু তত্ত্বীয়ভাবে শিখি। হাতে-কলমে কিছু না করতে পারায় বুঝতে পারি না।” আরেক শিক্ষার্থী কোখ্যাই খুমি বলেন, “পাওয়ারপয়েন্ট কিংবা ভিডিও কনফারেন্স—এসবের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।”

এ বিষয়ে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের বান্দরবান জেলার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মিজানুর রহমান জানান, “ঠিকাদার সংস্থা ২৫ লাখ টাকা 'রানিং বিল' নেওয়ার পর লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ২০২৪ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব ছেড়ে দেয়। এখন তাদের বাতিল করে নতুন দরপত্র আহ্বানের প্রস্তুতি চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই কাজ শেষ করার লক্ষ্য আছে।”

স্থানীয়দের দাবি, পাহাড়ি এলাকায় শিক্ষার্থীদের সামনে প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষার দরজা খুলে দিতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আইসিটি ভবনের কাজ সম্পন্ন করা জরুরি। নয়তো ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল থেকে আরও একধাপ পিছিয়ে যাবে থানচির শিক্ষার্থীরা।

৩৪৫ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন
এলাকার খবর

বিজ্ঞাপন

৩০০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন














সর্বশেষ সব খবর
শিক্ষা নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন