সর্বশেষ

আন্তর্জাতিক

ইরানে ভূপাতিত ইসরায়েলি ড্রোন: প্রযুক্তি বিশ্লেষণে নতুন দিগন্ত

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

বুধবার, ২ জুলাই, ২০২৫ ৩:১৭ অপরাহ্ন

শেয়ার করুন:
ইরান-ইসরায়েল ১২ দিনের যুদ্ধে আকাশে আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য দুই দেশই সর্বাধুনিক ড্রোন ও প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি ব্যবহার করেছে।

যুদ্ধের শুরুতেই ইসরায়েল শত শত ড্রোন ও যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে ইরানের সামরিক ঘাঁটি, ক্ষেপণাস্ত্র লঞ্চার ও গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোতে আঘাত হানে। ইসরায়েলি ড্রোনগুলো হাজার হাজার কিলোমিটার উড়ে ৫০০-র বেশি হামলা ও প্রতিরোধমূলক অভিযান চালায়, যার ফলে ইরানের সামরিক সক্ষমতা মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।

ইরানি প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, যুদ্ধ চলাকালে তারা একাধিক ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করেছে। বিশেষত, Hermes 900-এর মতো উন্নত ড্রোনসহ ছোট আকারের বিস্ফোরকবাহী ড্রোনও ইরানের আকাশ প্রতিরক্ষা ও ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ইউনিটের হাতে ধরা পড়ে। ইরানি রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যমে এসব ড্রোনের ধ্বংসাবশেষের ছবি ও ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে। ইরানের সামরিক সূত্র দাবি করেছে, ভূপাতিত ড্রোনের প্রযুক্তি বিশ্লেষণ ও রিভার্স ইঞ্জিনিয়ারিং শুরু হয়েছে, যা ভবিষ্যতে ইরানের ড্রোন প্রযুক্তি উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, ইসরায়েলি ড্রোনের মধ্যে ছিল উন্নত সেন্সর, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর ন্যাভিগেশন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা, এবং অত্যাধুনিক ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার প্রযুক্তি। ইরান এসব উপাদান বিশ্লেষণ করে নিজস্ব ড্রোন ও আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। যুদ্ধের সময় ইসরায়েলও ইরানি ড্রোন হামলা প্রতিহত করতে নতুন ইলেকট্রনিক স্পেকট্রাম ডিফেন্স ও নৌবাহিনীর Barak Magen LRAD সিস্টেম ব্যবহার করে সফলভাবে শত শত ড্রোন গুলি করে নামিয়েছে।

এই যুদ্ধ প্রমাণ করেছে, ড্রোন ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তি এখন আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রের নিয়ামক শক্তি। ইরানে ভূপাতিত ইসরায়েলি ড্রোনের প্রযুক্তি বিশ্লেষণ মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক ভারসাম্যে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

১৫১ বার পড়া হয়েছে

শেয়ার করুন:

মন্তব্য

(0)

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন
আন্তর্জাতিক নিয়ে আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন

২৫০ x ২৫০

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন
৩২০ x ৫০
বিজ্ঞাপন